করোনা সংক্রমণ রুখতে লকডাউন ঘোষণা করেছে কেন্দ্র সরকার। তবে তা গ্রাহ্য না করে ঘর থেকে বেরিয়ে আসছেন অনেকেই। পুলিশও রীতিমতো লাঠি উঁচিয়ে বাড়ী পাঠাচ্ছে তাদের। এই আবহেই একেবারে ব্যতিক্রমী ছবি ধরা পড়ল উত্তরপ্রদেশে। নির্দেশ অমান্য করে জমায়েত করার পরেও তলোয়ার দেখিয়ে পুলিশকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্বঘোষিত এক ধর্মগুরুর বিরুদ্ধে।
নিজেকে মা আদি শক্তি হিসাবেই সকলের কাছে পরিচয় দেন ওই মহিলা। তিনি উত্তরপ্রদেশের দেওড়িয়ার মেহদা পূর্ব গ্রামের বাসিন্দা। অভিযোগ, লকডাউনের প্রথম দিনেই ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন ওই মহিলা। অন্তত ১০০ জন স্থানীয় বাসিন্দা ভিড়ও জমান।
নিজেকে মা আদি শক্তি হিসাবেই সকলের কাছে পরিচয় দেন ওই মহিলা। তিনি উত্তরপ্রদেশের দেওড়িয়ার মেহদা পূর্ব গ্রামের বাসিন্দা। অভিযোগ, লকডাউনের প্রথম দিনেই ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন ওই মহিলা। অন্তত ১০০ জন স্থানীয় বাসিন্দা ভিড়ও জমান।
লোকমুখে জমায়েতের খবর পৌঁছায় পুলিশের কাছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে জমায়েত হঠানোর চেষ্টা করে। তাতেই বাধা দেন ওই মহিলা। ভাইরাল হওয়া এক ছবিতে দেখা গিয়েছে, লাল রংয়ের সিল্কের শাড়ি পরে তলোয়ার উঁচিয়ে পুলিশের দিকে তেড়ে আসেন ওই স্বঘোষিত ধর্মগুরু। ভিড় হঠানোর চেষ্টা করলে পুলিশের উপর হামলা করার হুঁশিয়ারিও দেন ওই মহিলা। তার সুরে সুর মেলাতে শুরু করে জমায়েত করা ভক্তরাও। গ্রেপ্তার করা হবে পুলিশের পালটা হুঁশিয়ারিতে প্রথম দফায় থামেনি ওই মহিলা। পরিবর্তে পরিস্থিতি ক্রমেই বেগতিক হতে শুরু করে। অতিরিক্ত পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। বাধ্য হয়ে মৃদু লাঠিচার্জ করে পুলিশ। ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় জনতা। ওই মহিলা এবং তার ভক্তদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
স্বঘোষিত ওই ধর্মগুরুর তলোয়ার উঁচিয়ে পুলিশকে হুমকির ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা রুখতে লকডাউনের কোনও বিকল্প নেই। তারপরেও মহিলার আচরণ নিয়ে নিন্দায় মুখর নেটিজেনরা। এই মহিলা যে মোটেও সচেতন নাগরিক নন, তা বলছেন অনেকেই। প্রয়োজনে আইনি ব্যবস্থার মাধ্যমে সচেতন করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেই দাবি প্রশাসনের।
স্বঘোষিত ওই ধর্মগুরুর তলোয়ার উঁচিয়ে পুলিশকে হুমকির ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা রুখতে লকডাউনের কোনও বিকল্প নেই। তারপরেও মহিলার আচরণ নিয়ে নিন্দায় মুখর নেটিজেনরা। এই মহিলা যে মোটেও সচেতন নাগরিক নন, তা বলছেন অনেকেই। প্রয়োজনে আইনি ব্যবস্থার মাধ্যমে সচেতন করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেই দাবি প্রশাসনের।

No comments:
Post a Comment