সম্পর্কে ভাঙনের ইঙ্গিত পেতে পারেন মিলনের ক্ষেত্রে এসব লক্ষণ দেখে

সম্পর্কে ভালো মন্দ মুহূর্ত থাকেই। তবে নেতিবাচক ধারণা কাটিয়ে ইতিবাচক মুহূর্তকেই জড়িয়ে ধরতে চায় মন। তাই পার্টনারের সঙ্গে বোঝাপড়ার পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে দু’জনের মধ্যে আবেগঘন মুহূর্তও। কিন্তু, সম্পর্কে আবেগের কমতি আঁচ মিলতে পারে আগে থাকতেই। আর তা বোঝা যায় প্রেমিক-প্রেমিকার মধ্যে যৌন সম্পর্ক থেকেও।

ঠিকই পড়েছেন। সেক্সেও লুকিয়ে থাকে আপনার সম্পর্কের একাধিক সিক্রেট। আলোচনায় মনোবিদ মনন শীল।

১) পার্টনারের আরও ঘনিষ্ঠ হওয়ার ইচ্ছে হচ্ছে, তবে বোঝাতে পারছেন না?
এই হল প্রথম ইঙ্গিত। যৌনতার ইচ্ছা হলেও যদি ব্যক্ত করতে না পারেন, বুঝবেন সমস্যা রয়েছে। চেষ্টা করবেন খোলাখুলি আলোচনা করার। পার্টনারের কাছে যৌন ইচ্ছা ব্যক্ত করা কোনও অপরাধ নয়।

২) ভুয়ো অরগ্যাজম!
ভুয়ো হলেও অরগ্যাজমের নাটক বাস্তব বিষয়। নতুন সম্পর্কে প্রথম প্রথম এই ধরনের অভিযোগ শোনা যায়। তবে কারণ যাই হোক, যৌনতার মুহূর্তে ভুয়ো অরগ্যাজম উচিৎ নয়। তাই সম্পর্ক সুস্থ করতে যৌনতার চরম মুহূর্তেও স্বাভাবিক থাকা উচিৎ।

৩) সময় ধরে সেক্স!
দু’জনেই ব্যস্ত। হাতে সময় কম। তাই যৌনতার প্রাপ্তিও কম! এই সমস্যা বর্তমানের বহু শহুরে দম্পতির। অনেকেই ‘সপ্তাহে একবার যথেষ্ট’ বলেই মনে করেন। তবে এটা দূরত্বের লক্ষণ! স্বাভাবিক সম্পর্কে যৌনতার কোনও নির্দিষ্ট সময় নেই। সাপ্তাহিক গণ্ডিতে তাকে বেঁধে ফেলার চেষ্টা আদতে স্বাভাবিক ইচ্ছাকে শর্তে পরিণত করার চেষ্টা।

৪) প্রায়ই ঝগড়া …
প্রায়ই ঝগড়া লেগেই আছে? কখনও তা হাতাহাতি পরিণত হয়? বাস্তব চিত্র মেনে নিন। আপনাদের মধ্যে সমস্যা রয়েছে। থামুন, ভাবুন…কেন সমস্যা? কী সমস্যা? আলোচনা করুন পার্টনারের সঙ্গে। সমাধানকেই প্রাধান্য দিন।

৫) ক্লান্তিই কারণ?
যৌনতা এড়ানোর সবচেয়ে সহজ উপায়। নিজেকে ‘ক্লান্ত’ ঘোষণা করা। অথচ যৌনতার পরই কিন্তু সবচেয়ে বেশি ‘রিল্যাক্সড’ হওয়া যায়। তবে অবশ্যই যৌনতা এড়ানোর কারণ ক্লান্তি নয়। পার্টনারের থেকে দূরে থাকার অজুহাত? হতে পারে। এমন হলে ভাবা উচিৎ আপনার। ভাবুন, সমাধান করুন।