সন্তান গর্ভে ধারণ করা একজন মায়ের জন্য নিঃসন্দেহে আনন্দের ব্যাপার। এসময় বাড়ীর সবাই গর্ভবতী মায়ের যত্ন নেন যথাসাধ্য। কিন্তু আপাতত যা পরিস্থিতি তাতে বাড়তি খাতির-যত্ন তো দূরে থাক, আতঙ্কে প্রহর কাটছে সবার।
কতদিন ঘরে থাকতে হবে বোঝা মুশকিল। ইচ্ছে হলেই পছন্দের খাবারটি আনিয়ে নিতে পারবেন না, আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে দেখা করার উপায়ও নেই। খুব মন খারাপ হচ্ছে, ভয় লাগছে এই পরিস্থিতিতে। এই সময়ে এমনটা প্রায় প্রত্যেক গর্ভবতী মায়ের মনের অবস্থা।
মনে রাখবেন, পৃথিবীর ইতিহাসে এমন কঠিন সময় আগেও এসেছে এবং তখনও বহু নারী নিরাপদেই সন্তান প্রসব করেছেন। তাই প্যানিক করার কারণ নেই এখনই।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আলাদা করে না ঘাবড়ে সব গর্ভবতী নারীরই সাধারণ মানুষের জন্য জারি হওয়া নির্দেশিকা মেনে চলা উচিৎ। একান্ত প্রয়োজন না হলে বাড়ীর বাইরে যাবেন না, সর্দি-কাশি হলে সব সাবধানতা মেনে চলুন।
কেউ আক্রান্ত হয়েছেন জানতে পারলে তার থেকে প্রস্তাবিত দূরত্ব বজায় রাখতেই হবে। কোনওভাবে আপনি সংক্রমিত হলে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন।
ভয় পাওয়ার কারণ তেমন নেই, কারণ গর্ভবতীদের ক্ষেত্রেও সংক্রমণ খুব বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়ায় না সাধারণত। কারও হলেও সাধারণ জ্বর-সর্দির লক্ষণই থাকবে, তবে শ্বাস নিতে সমস্যা হলে ডাক্তারকে জানান।
সোশাল ডিসট্যান্সিং বা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করুন। কাছের মানুষের সঙ্গে যোগযোগ রাখুন ফোনের মাধ্যমে।
পুষ্টিকর খাবার খান নিয়মিত, ঘরের মধ্যে হাঁটাচলা করুন। বাড়তি টেনশন করবেন না, ওজন যেন মাত্রাছাড়া না বাড়ে। মনে রাখবেন, এই পরিস্থিতিও একদিন পালটাবেই, আপাতত সাবধান হওয়াটাই সবচেয়ে জরুরি।

No comments:
Post a Comment