আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগে মালদার ইংরেজবাজার থানার তিন অফিসারকে সাসপেন্ড এবং ‘ক্লোজ’ করা হয়েছে থানার আইসি অমলেন্দু বিশ্বাসকে। সেই জায়গায় অস্থায়ী আইসি পদে বহাল করা হয়েছে ত্রিগুণা রায়কে। তবে মূল ঘটনা প্রসঙ্গে এখনই সবটা বলা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সাসপেন্ড হওয়া তিন পুলিশ অফিসারের নাম সুবীর সরকার, নরবু ডুগপা এবং তনয় চক্রবর্তী। এই তিনজনেই ইংরেজবাজার থানায় সাব ইনস্পেকটরের পদে ছিলেন। ক্লোজ করা হয়েছে থানার আইসিকেও। অর্থাৎ তাঁকে বর্তমান দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এই চারজনের বিরুদ্ধেই শুরু হয়েছে বিভাগীয় তদন্ত।
কী কারণে এই তিন অফিসারকে বরখাস্ত করা হল সে বিষয়ে এখনই কিছু জানাতে চাননি পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া। তবে পুলিশ সূত্রের খবর, বিশাল অঙ্কের আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে। একটি ঘটনার তদন্তভারের চরম গাফিলতির অভিযোগও রয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দীপক সরকারকে এই ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
তবে পুলিশের একটি সূত্রে জানা গেছে মালদা শহরের নেতাজি সুভাস রোড সংলগ্ন একটি ট্রাস্ট বোর্ডের মালিকানায় এক বাংলাদেশির নাম আছে, সেই ব্যক্তির কাছ থেকে ভারতীয় নাগরিকত্বের পরিচয়পত্রও উদ্ধার হয়। পুলিশ সূত্র জানাচ্ছে, একই সঙ্গে ভারত ও বাংলাদেশের ভোটার কার্ড ও অন্যান্য নথি উদ্ধার হয় ওই বাংলাদেশির কাছ থেকে। এমনকি ট্রাস্টের মালিকানাও নাকি ছিল ওই ব্যক্তির নামেই। অভিযোগ, ট্রাস্টের অধীনস্থ জমি বিক্রি করে ভারতীয় টাকা সে বাংলাদেশেও নিয়ে গিয়েছিল। কিছুদিন আগেই ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ। কিছুদিন পুলিশি হেফাজতে থাকার পরেই হঠাৎ করে জামিনে ছাড়া পেয়ে যায় ওই ব্যক্তি। ঘটনায় পুলিশি গাফিলতির অভিযোগ ওঠে।
তদন্তে জানা যায়, ওই বাংলাদেশির কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা (সূত্রের খবর ১ কোটি ৩০ লক্ষ)ঘুষ নিয়ে তাকে ছেড়ে দিয়েছিল ওই তিন অফিসার। ঘটনায় নাম জড়ায় থানার আইসি অমলেন্দু বিশ্বাসেরও। এরপরেই পুলিশের শীর্ষ কর্তারা নড়েচড়ে বসেন।
এই ঘটনা নিয়ে পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বিস্তারিত কিছু জানাতে রাজি হননি। তবে তিনি তিন পুলিশ অফিসারকে সাসপেন্ড ও আইসিটি ক্লাস করার কথা জানিয়েছেন এবং তিনি বলেছেন তদন্ত চলছে।
No comments:
Post a Comment