দক্ষতার সাথে ট্রেন চালাচ্ছেন মহিলা ড্রাইভাররা - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Sunday, 8 March 2020

দক্ষতার সাথে ট্রেন চালাচ্ছেন মহিলা ড্রাইভাররা




ইস্টান রেলের হাওড়া  ডিভিশনে কয়েকশো পুরুষ ড্রাইভারের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সমাত তালে দক্ষতার সাথে ট্রেন চালাচ্ছেন কয়েকজন মহিলা ড্রাইভার। তবে রেলের ভাষায় তাদের ড্রাইভার নয় লোকো পাইলট বলা হয়। এমনই দু জন মহিলা লোকো পাইট বর্ধমান স্টেশনে বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে দক্ষতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে  চলেছেন। আন্তর্জাতিক নারী দিবসে তাদের কাজ ও দক্ষতা কুর্ণিশ।


তারা জানিয়েছেন তাদের কর্মজীবনের নানান খুটিনাটি কথা। পুষ্পা তানওয়ার ৩ বছর হয়েছে রেলের মহিলা লোকো পাইলটের চাকরি পেয়েছে। রাজস্থানের আজমের থেকে ইলেকট্রনিক্স এন্ড টেলিকমিনিশনের ডিপ্লমা করেন। তার পর বিয়ে স্বামী প্রতিষ্ঠিত ব্যাসায়ী। তাদের একটি ৮ বছরের পুত্র সন্তান ও আছে  স্বামী্ স্ত্রী ও সন্তান কে নিয়ে তাদের সুখি পরিবার।  ২০১২ সালে রেলে চাকরী পান। আসানসোলে তার ট্রেনিং হওয়ার তিনি হাওড়া ডিভিশনে জয়েন করেন। বিগত ৩ বছর ধরে তিনি বর্ধমান স্টেশনে আছেন।



পুষ্পা দেবী বলেন , এই কাজ  করে তিনি গর্ব অনুভব করেন। তার স্বামীই তার অনুপ্রেরনা। তিনি বলেন আজকের দিনে মহলার পারেনা এমন কোন কাজ নেই আর কোন কাজ ছোট বা বড় হয় না। লক্ষমাত্রা ঠিক রাখলে সাফল্য আসবেই। পুষ্পা দেবী আরও বলেন , তাকে এই কাজ করতে সবসময় সহায়েত করেন তার পুরুষ সহকর্মীরা। আজ অবধি কাজ করতে কোন অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়নি । সমস্যা হলে সকলে একসাথে সেই সমস্যা মিটিয়ে নেওয়া হয়েছে।




পুষ্পা দেবীর মতই আরও এক মহিলা চালক বর্ধমানে রয়েছেন তিনি হলেন  বর্ষা মাহাত। বর্ষা দেবী (এ্যাসিস্টেন্ট এল পি জি )ধানবাদ থেকে ইলেকট্রিকে আই টি আই করে তিনি রেলে চাকরী পান। মা বাবা ও দু ভাই বোনের পরিবার তার। বর্ষা দেবী বলেন। আমাদের কাজটা দেখে মনে হয় খুব শক্ত কিন্তু কার্যত খুব সহজ। পুর বিষয়টা সিগ্যানালের ওপর নির্ভরকরে আমাদের চলতে হয়। সকল সহকর্মীর সহায়েতায় আমরা এক সাথে এক পরিবারের মত একসাথে থাকি আর কাজ করি। তারা বলেন আমাদের সিনিয়ার ও অন্যান্য কর্মীরা সব সময় নানা বিষয়ে আমাদের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। শুধু পরামর্শ নয় কখনও কখনও ফিরতে দেরী হয়েগেলে বা রাত হয়ে গেলে তারা আমাদের বাড়িতে পৌছে দেওয়ার ব্যাবস্থাও করে দেন।


তারা বলেন , মেয়েরা এই পেশায় আরও বেশী করে আসুন কোন ভয়ের কারন নেই আর পাঁচটা কাজের মতই ট্রেন চালানো টাও একটা কাজ। দিন কয়েক আগে বর্ধমান স্টেশন পরিদর্শনে এসেছিছেন ইস্টান রেলের হাওড়া  ডিভিশনে জেনারেল ম্যানেজার সুনীত শর্মা। তিনি এই দুই মিহিলা লোকো পাইলটের কাজ ও কর্মদক্ষতা নিয়ে ভূয়সী প্রশংসা করেন।




অপর দিকে বর্ধমান স্টেশনের সিনিয়ার ক্রু কন্ট্রলার ডি এন বর্মন বলেন , আর পাঁচ জনের মত তারও একই রকম কাজ করে। আমাদের যখন ট্রেনিং দেওয়া হয় তখন তো দেখা হয়না কে মহিলা কে পুরুষ সলক কে এক সাথে একই রকম ট্রেনিং দেওয়া হয়ে থাকে। ওদের কাজ নিয়ে কোন সমস্যা নেই এখনে আমরা সকলেই একটা পরিবাবের মত করে থাকি। ওদের নিরাপত্তার স্বার্থে  একটা জিনিষ আমরা করি সেটা হলো ওদের রাতে ডিওটি দেওয়া হয় না। দিনের আলোতেই ওরা কাজ করে।




তিনি আরও বলেন এই মূহুর্তে তারা  ( গুডস) মালগাড়ি চালাচ্ছে আগামী দিনে উপ যুক্ত ট্রেনিং নিয়ে তারা একই দক্ষতার সাথে প্যাসেঞ্জার ট্রেন ও চালাবে।  

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad