করোনার জেরে জোগান কম,বাংলায় বাড়তে চলেছে ডিমের আকাল - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Friday, 27 March 2020

করোনার জেরে জোগান কম,বাংলায় বাড়তে চলেছে ডিমের আকাল





করোনার গ্রাসে মৃত্যু মিছিল গোটা বিশ্বজুড়ে।করোনা ভাইরাসের কবলে মৃত্যু হয়েছে দেশে ও রাজ্যে।ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশের জনগণের স্বার্থে লকডাউন ঘোষণা করেছেন ২১ দিনের জন্য।




এই অবস্থায় দেশের জনগণ হোম কোয়রেন্টাইনে দিন কাটাচ্ছে।দেশে উৎপাদন বন্ধ। ডিম বাজারে কত পরিমাণ  শুক্রবার থেকে আসবে এবং দাম কি হবে ? সেটা নিয়ে এগ মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক কাজল দত্ত যথেষ্ট উদ্বেগে আছেন।





এই মুহূর্তে ডিমের জোগান বাজারে অনেক কম।বৃহস্পতিবার ডিমের দাম পাইকারি বাজারে চার টাকা করে বিক্রি হয়েছে।বর্তমানে সেই ডিম খুচরা বিক্রি হয়েছে ছ' টাকায়।





এগ মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক কাজল দত্ত জানান  লকডাউন থাকার  কারণে অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, রাস্তায় কাউকে দেখলেই গুলি করতে। তাই নিজের প্রাণ রক্ষার্থে কেউ সহজে বাড়ি থেকে বেরোতে চাইছে না।লরির চালক, খালাসি এবং আনলোডিংয়ের শ্রমিকরা ভয়ে কাজে যোগদান করছে না।






সরকারের তরফ থেকে যদিও অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের ওপর ছাড় রয়েছে কিন্তু তবুও তাদের ভয় বাইরে বেরোলেই পুলিশি হয়রানি এবং লাঠিপেটার।লকডাউনের জন্য সারা দেশ জুড়েই চলছে পুলিশি হয়রানি। এই কারণে  ডিমের গাড়ি না আসার সম্ভাবনা।গাড়ি আসতে পারে কিংবা কমও আসতে পারে ,কলকাতায় ও এই রাজ্যে।করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এর কারণেই ডিমের যোগান কম এরকম গুজব ছড়ানো হয় সোশ্যাল নেটওয়ার্কে।






করোনা ভাইরাস   সংক্রমণের প্রচার সোশ্যাল মাধ্যমগুলোতে খুব পরিমাণে ছড়িয়ে দেওয়া হয়।এমনকি  মুরগির মাংস এবং ডিম খেলে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হচ্ছে এমন গুজবও  ছড়ানো হয়।এরপর  মানুষ মুরগির মাংস খাওয়া বন্ধ করে দেয় সঙ্গে ডিমও।যারফলে বিশাল আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয় মুরগির পোল্ট্রি ফার্ম ও হেচারি গুলো।





এমনও দেখা গেছে ১০০ টাকায় পাঁচটি মুরগি বিক্রি হয়েছে মাইকে ঘোষণা করে। একটি মুরগির ডিম প্রজনন করাতে গেলে পোল্ট্রি মালিকের ২ টাকা ৮০ পয়সা খরচা হয় । সেই জায়গায় পোল্ট্রির মালিকরা আড়াই টাকা করে ডিম বিক্রি করেছিল কয়েকদিন আগে অবধি।  সেই ক্ষতির মুখে পড়ে মুরগি পোল্ট্রি ফার্ম এর মালিকেরা ডিমওয়ালা মুরগি কেটে, মাংস বিক্রি করে। যার ফলে এই মুহূর্তে ডিম পাড়া মুরগির সংখ্যা অনেক কম।





এমনিতেই ধাক্কা খাওয়া মুরগি ব্যবসায়ীরা যদি নতুন করে আবার ডিম প্রজনন করাতে চায়,তাহলে কমপক্ষে দেড় থেকে দুই মাস সময় লাগবে।এই সময় যদি পঞ্জাব থেকে ডিম পশ্চিমবঙ্গে জোগান দেওয়া যায় ,তাহলে হয়তো অনেকটা সমস্যার সমাধান হবে। 





ডিমের আকাল কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে সেটা কেউ ধারণা করতে পারছেন না। কিন্তু জোগান নিয়ে খুব সংশয়ে রয়েছে ডিম ব্যবসায়ীরা।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad