
বসিরহাট মহকুমার বসিরহাট ২, নম্বর ব্লকের মাটিয়া থানার ধান্যকুড়িয়া বাইন পাড়া গ্রামের ঘটনা। গ্রামবাসীরা গ্রামের মূল রাস্তায় বাঁশ বেধে পোস্টার টানিয়ে গ্রামসিল করল। উদ্দেশ্য একটা যে বহিরাগতরা এসে গ্রামে না ঢুকতে পারে, এবং দিন রাতে পাহারার ব্যবস্থা করেছে পাশাপাশি কিছু স্বেচ্ছাসেবক যুবকদের পাশাপাশি কলেজপড়ুয়া গ্রামের মহিলার যুক্ত হয়েছেন।
নিজেদের উদ্যোগ লাগিয়েছে
গ্রামবাসীরা। কেউ বাইরে থেকে আসলে উপসর্গ
নিয়ে তাদেরকে দ্রুত স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পৌঁছানো। এবং হোমকয়োরন্টিন থাকার জন্য
লাগাতার সচেতন মূলক কাজ করে চলেছে। পাশাপাশি কোবিট ১৯ এর যেসব উপসর্গ গুলো হয় জ্বর,সদ্দি কাশি, শ্বাসকষ্ট,গায়ে জর, ইতিমধ্যে তার পোস্টার
লাগিয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর। পাশাপাশি বাইরে থেকে
কেউ যদি এসে থাকে তাদের দ্রুত স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্র বা হাসপাতালে
গিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা নির্দেশিকা জারি করেছেন।
সবমিলিয়ে গত দুদিন আগে আকিপুর গ্রাম সিল করেদিয়েছে গ্রামবাসীরা। এবার ধান্যকুড়িয়া
বাইন পাড়া সিল করল গ্রামবাসীরা। এমনিতে ধান্যকুড়িয়া অঞ্চলে বেশ কিছু রাজবাড়ী
রয়েছে যেখানে বাইরে থেকে পর্যটকরা ভিড় করত। কিন্তু লকডাউন এর জেরে এমনি ঘর বন্দি
মানুষ তার কারণে এগুলো প্রায় পর্যটকশূন্য হয়ে পড়েছে রাজবাড়ী গুলো।
কেন্দ্র-রাজ্য নির্দেশ অমান্য যাতে কেউ না করে তার জন্য বারবার করে সচেতনতা প্রচার
চলছে।
অন্যদিকে, প্রশাসনের পক্ষ থেকে
মাইকিং প্রচার করে স্থানীয় মানুষদের কে সচেতনতার পাশাপাশি বাইরে থেকে কেউ আসলে
তাকে দ্রুত স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার নির্দেশিকা জারি
করেছে। স্বাস্থ্য দপ্তর ইতিমধ্যে বসিরহাটের বেশকিছু এলাকায় স্বাস্থ্য দপ্তরে
নির্দেশিকার পোস্টার পড়েছে। পাশাপাশি গ্রামবাসীরা সেই পোস্টার গুলোকে আলাদাভাবে
জেরক্স করে গ্রামের কোনায় কোনায় বাড়ির দেওয়ালে মেরে দিচ্ছেন।
সমাজকর্মী ছন্দক
বাইন, কলেজ
ছাত্রী বিশ্বরূপ মন্ডল, গ্রামবাসী প্রলয় মন্ডল, তাদের উদ্যোগে গ্রামে একদল ছাত্র ,ছাত্রী থেকে গ্রামের বিশিষ্টজনেরা এই
সচেতনতার বার্তা দিয়ে যাচ্ছেন প্রতিটি ঘরে। লগডাউন সফল করতে সমাজের সব ধরনের
মানুষকে স্বেচ্ছায় এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন।
গতকাল সোমবার নবান্নে প্রশাসনিক
বৈঠকে ঘোষণা করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আবেদনে
সাড়া দিয়ে ধান্যকুড়িয়া অঞ্চলের শিক্ষিত যুবক-যুবতী ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে
সমাজের বিশিষ্ট জনেরা এই সমাজিক কাজে সামিল হয়েছেন।
No comments:
Post a Comment