খেলনা কেনার জন্য তিল তিল করে জমানোর শেষ সম্বলটুকু নিজের স্বইচ্ছায় তুলে দিল
"করোনা ভাইরাস" বিপর্যয়ের মোকাবিলার জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়ের ত্রান তহবিলে। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার গোবরডাঙ্গার ৬ বছর বয়সী
ছোট্ট মেয়ে দেবাঙ্কিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এ হেন মানসিকতা দেখে তাজ্জব সকলেই।
বেসকারী ইংলিশ মিডিয়ামে পড়া এই মেয়ে গানের সঙ্গে যুক্ত। বিগত দিনগুলোতে গানের
ফাংশানগুলোতে টাকা পেয়ে পূজোর আগে বহু গরীব ছেলে মেয়েদের পাশাপাশি তাদের মায়েদের হাতে
নতুন পোশাক দেওয়ার পাশাপাশি দুপুরে খাওয়ানোর ব্যবস্থাও করা হয় তার ইচ্ছায়। এছাড়াও
প্রতিদিনই দুঃস্থ মানুষের সেবার কাজে অর্থ দান করা তার নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনার
মধ্যে পড়ে।
সে গরীব মানুষের বিয়ে হোক কিংবা কারোর শরীর খারাপ হোক না কেন। সম্প্রতি
"করোনা ভাইরাস" এর জেরে সে এখন
ঘরে গৃহবন্দী। এ রাজ্যের মানুষ যাতে সুস্থ স্বাভাবিক ছন্দে আগের মতো ফিরে আসতে
পারে ও" করোনা ভাইরাস" যাতে বিনষ্ট হয় সেজন্য বর্তমানে ঠাকুরের কাছে
মাথা ঠুকছে সে।" করোনা ভাইরাস" কবলের জেরে লক ডাউন চলছে। ঘরের বাইরে বের
হচ্ছে না সেও।
কিন্তু রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় "করোনা
ভাইরাস" এর মোকাবিলায় রাত দিন জেগে নিজের জীবনকে বাজি রেখে দৌঁড়াচ্ছেন। এই
খবর সে বারংবার টিভির পর্দায় দেখেছে কার্টুন বাদ দিয়ে। প্রতিদিনই সে পাগলের মতো
বলতে থাকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে থেকে মানুষকে সেবা করার। বার্ষিক পরীক্ষা
শেষ। এখন ঘরে গৃহবন্দী সে।
বার্ষিক পরীক্ষার পর একটা খেলনা কিনবে বলে তিল তিল করে
পয়সা জমাচ্ছিল সে। কিন্তু সম্প্রতি করোনা ভাইরাসের জেরে তার মন কেঁদে উঠেছিল।
খেলনা না কিনে খেলনা কেনার জন্য জমানো ১০০০০ টাকা পুরোটাই তুলে দিল মুখ্যমন্ত্রীর
ত্রান তহবিলে। ছোট্ট মেয়ের এই ধরনের মন মানসিকতা দেখে খুশী তার অভিভাবক থেকে শুরু
করে তার প্রতিবেশীরাও।
No comments:
Post a Comment