বালুরঘাট থানা ঘেরাও করল স্থানীয় বাসিন্দারা

লকডাউন চলাকালীন  এলাকায় ত্রান বিলিতে বৈষম করার প্রতিবাদ করায় পুলিশ একজনকে ধরে নিয়ে আসার প্রতিবাদে ও অবিলম্বে তাকে ছেড়ে দেওয়ার দাবিতে  বালুরঘাট থানা ঘেরাও করল স্থানীয়  বাসিন্দারা।



আজ দুপুরে বালুরঘাট শহরের  রবীন্দ্রনগর এলাকার বাসিন্দারা মিছিল করে  পুলিশের এই ভুমিকার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বালুরঘাট থানা ঘেরাও করতে আসে।  বালুরঘাট থানা  খবর পেয়ে ব্যবস্থ্যা নিলেও ক্ষুদ্ধ বাসিন্দারা থানা চত্বরে ঢুকে পড়তে সক্ষম হয়।




এরপরেই থানার উচ্চপদস্থ অফিসাররা তাদের ওই যুবককে গ্রেফতার বা আটক করা হয়নি। এমনকি তাকে লক আপেও ঢোকানো হয়নি। শুধু মাত্র জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে বাড়ি থেকে নিয়ে আসা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দেবার আশ্বাস দিলে উত্তেজিত বাসিন্দারা থানা ঘেরাও থেকে সরে আসে বলে জানা গেছে। 





বালুরঘাট শহরের পুরনো ২০ নম্বর ওয়ার্ডের রবীন্দ্রনগর এলাকার  ক্ষুদ্ধ বাসিন্দাদের অভিযোগ গত পরশু তাদের এলাকায় গিয়ে একটি রাজনৈতিক দল ত্রান নিয়ে হাজির হয়। কেননা ওই এলাকায় প্রচুর দিন আনা দিন খাওয়া মানুষে বাস।  ক্ষুদ্ধ বাসিন্দারা বালুরঘাট থানা চত্বরে দাঁড়িয়ে একের পর একজন  করে অভিযোগ জানান ওই রাজনৈতিক দলের নেতারা  এলাকায় ত্রান নিয়ে গিয়ে সেই ত্রান বিলিতে বৈষম্য করছিলেন।




মুখ দেখে ত্রান বিলি করার পাশাপাশি কাউওকে কম কাউকে বেশি ত্রান দেওয়া হচ্ছিল। এই দেখে স্থানিও সব বাসিন্দাই তাদের  এই ত্রান বিলি নিয়ে প্রতিবাদ জানায়। তারা বার বার সমান ভাবে সবাইকে ত্রান বিলির দাবি জানাতে থাকলে এই নিয়ে সেসময় ওই ত্রান বিলি দলের সাথে উত্তেজনা দেখা দেয়।প্রবল বাধার মুখে পড়ে তারা ত্রান বিলি না করে ফিরে যায়।




রবীন্দনগর এলাকার বাসিন্দাদের আরও অভিযোগ বিষয়টি সেখানেই সেদিনের মত শেষ হয়ে যায়। কিন্তু আজ সকালে বালুরঘাট থানা থেকে পুলিশ ওই এলাকায় গিয়ে  কেন ত্রান বিলিতে বাধা দেওয়া হয়েছে সে নিয়ে এক অপ্রাপ্ত বয়সের  যুবককে বাড়ি থেকে থানায় তুলে নিয়ে আসে।স্থানিওদের অভিযোগ পাশাপাশি পুলিশ তাদের দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। যদিও পুলিশের তরফে সে অভিযোগ অস্বীকার  করা হয়েছে। 



স্থানীয়   বাসিন্দারা পুলিশের এই আচরনে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এরপরেই স্থানিও বাসিন্দারা পুলিশের এই ভূমিকার প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি অবলম্বে ওই যুবককে ছেড়ে দেওয়ার দাবিতে এলাকা থেকে মিছিল করে বালুরঘাট থানা ঘেরাও করতে চলে আসে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।




যদিও পরে থানার আই সি জানিয়েছেন ভুল বোঝাবুঝিতে এই অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটেছে। যুবকটিকে জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দেওয়া হবে।তবে তিনি ক্যামেরার সামনে মুখ খুলতে রাজি হন নি।