বিশ্বব্যাপী খাদ্য সংকট দেখা দিতে পারে, হুশিয়ারি জাতিসংঘের - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Friday, 27 March 2020

বিশ্বব্যাপী খাদ্য সংকট দেখা দিতে পারে, হুশিয়ারি জাতিসংঘের

ছবি: সংগৃহীত

করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় বিশ্বের প্রতিটি দেশের সরকার নিজের মতো করে ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে বিভিন্ন দেশ অন্য দেশের সঙ্গে বাণিজ্যসহ সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। এমন পরিস্থিতি কারণে খাদ্য সংকট সৃষ্টি হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য সংস্থার।

দ্য গার্ডিয়ানকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে সংস্থাটির প্রধান অর্থনীতিবিদ ম্যাক্সিম টোরেরো বলেছেন, ফসলের উৎপাদন ভালোই হয়েছে এবং প্রতিটি দেশে প্রধান খাদ্যশস্যের ফলন আশাব্যঞ্জক পর্যায়ে ছিল। তবে করোনার কারণে মাঠকর্মীর সংকট তৈরি হয়েছে। নিজ দেশের খাদ্য সুরক্ষাব্যবস্থার ফলে আমদানি-রফতানি বন্ধ করায় সামনের দিনগুলোতে সমস্যা দিখা দিতে পারে বিশ্বের প্রধান খাদ্য সরবরাহকারী দেশগুলো। এরইমধ্যে সবচেয়ে খারাপ যেটা ঘটতে পারে, তা হলো বিভিন্ন দেশ খাদ্য রফতানিতে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে পারে।
তিনি বলেন, এখন সময় বিশ্বজুড়ে খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করা। বানিজ্যে শর্তারোপ বা বাধা দেয়ার সময় এটা নয়। মুক্ত বাণিজ্যবিরোধী সব পদক্ষেপ উৎপাদনবিরোধী।
ম্যাক্সিম টোরেরো আরো বলেন, রফতানি সীমিত করতে হবে। নিজ দেশের খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে রফতানি বাণিজ্যে কড়াকড়ি আরোপ করতে হবে। বিশেষ মহলের আহ্বান উপেক্ষা করতে হবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এরইমধ্যে রফতানি বন্ধ করতে শুরু করেছে।
ম্যাক্সিম টোরেরোর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, বাণিজ্য প্রতিবন্ধকতা গভীর অনিশ্চয়তা তৈরি করবে। যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়ার মতো দেশগুলো এটিকে বেশি ভয়াবহ করে তুলবে। খাদ্যসংকট নিয়ে এটাই আমাদের পর্যবেক্ষণ।
তিনি বলেন, বর্তমনে বেশিভাগ দেশে খাদ্য সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। তবে সমস্যা সৃষ্টি হবে সপ্তাহখানেক বাদে আর মাস দুই পর এ সমস্যা গুরুতর হবে যখন বাজারে মৌসুমি ফল এবং সবজি আসবে। ফল এবং সকজী দ্রুত পচনশীল তাই এখনই সময় সেগুলোকে কিভাবে সংরক্ষণ করা যায় সে বিষয়ে কাজ করা।
ম্যাক্সিম টোরেরো বলেন, যেহেতু করোনা সংক্রমণের ভয়ে মানুষ সংস্পর্শ এড়িয়ে চলছে, কেউ বাইরে বের হচ্ছে না। তাই এই মুহুর্তে শ্রমিকের অভাব। আর শ্রমিক না পাওয়া গেলে ফল ও সবজীর মতো দ্রুত পচনশীল খাবার সংরক্ষণ সম্ভব না।  
তিনি আরো বলেন, মানবসভ্যতাকে বাঁচাতে হলে এখনই নীতি প্রয়োজন এবং সরবরাহ শৃঙ্খলা রক্ষায় কর্মীদের কাজ করতে হবে। সবাইকে খাদ্যের অপচয় রোধ করতে হবে। কয়েকটি দেশ এরইমধ্যে তা করতে শুরু করেছে।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad