নিজস্ব সংবাদদাতাঃ এক তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করলো বারোবিশা থানার পুলিশ। অভিযুক্ত যুবকের নাম শম্ভু রায়( ২৮)। ঘটনাটি ঘটছে আলিপুরদুয়ার জেলার কুমারগ্রাম ব্লকের ভলকা গ্রাম পঞ্চায়েতে। পাশবিক এই ঘটনার জেরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে কুমারগ্রাম ব্লকে। বুধবার সকালে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় উত্তরবঙ্গের আইজি আনন্দ কুমার এবং জেলা পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারকরা।
আলিপুরদুয়ার জেলা পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি জানান, নাবালিকার বাবার সাথে অভিযুক্তের বন্ধুত্ব আছে। সেই সূত্রে মেয়েটি তাদের বাড়ীতে যেত। ঘটনার সময় অভিযুক্তের স্ত্রী বাড়িতে ছিল না। সেই সুযোগে অভিযুক্ত এই ঘটনা ঘটায়। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সে গোটা ঘটনার কথা স্বীকার করে নিয়েছে । মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অভিযুক্ত যুবক ওই নাবালিকাকে ফুসলিয়ে তার বাড়ীতে নিয়ে যায়। তখন অভিযুক্তের বউ বাড়িতে ছিল না। এই সুযোগে নাবালিকাকে অভিযুক্ত ধর্ষন করে। তারপর অভিযুক্ত তার পরনের গেঞ্জি খুলে নাবালিকার শ্বাসরোধ করে খুন করে বাড়ী থেকে ঢিল ছোঁড়া দুরত্বে ২ নং রায়ঢাক নদীর ধারে নাবালিকার মৃতদেহ নিয়ে যায়। বারোবিশা থানার পুলিশ জানিয়েছে, ধর্ষনের পর অভিযুক্ত নাবালিকাকে ওই নদীর ধারেই বালির কবর খুঁড়ে পুতে রাখে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত নাবালিকা বাড়ীতে না ফেরায় নাবালিকার মা গ্রামে খুঁজতে শুরু করে। অভিযুক্ত নাবালিকার মাকে জানায় সে তার মেয়েকে দেখেনি। ইতিমধ্যেই বাড়ীতে চলে আসে অভিযুক্তের স্ত্রী। সে দেখতে পায় নাবালিকার জুতো পড়ে আছে তার ঘরের বারান্দায়। এরপরই সন্দেহ জাগে। এদিকে নাবালিকার খোঁজ না পেয়ে পুলিশের দ্বারস্ত হয় নাবালিকার পরিবার। অভিযুক্ত শম্ভুকে সন্দেহ করে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানায় নাবালিকার বাবা ও মা ।
রাতেই নাবালিকার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে শম্ভুকে গ্রেপ্তার করে বারোবিশা ফাঁড়ির পুলিশ।মঙ্গলবার রাতে অভিযুক্তকে জেরা করে ঘটনার বিস্তারিত জানতে পারে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতেই রায়ডাক নদীর চর থেকে বালির কবর থেকে উদ্ধার করা হয় নাবালিকার মৃত দেহ। বুধবার অভিযুক্তকে আলিপুরদুয়ার আদালতে তোলে পুলিশ। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পকসো এবং খুনের মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদের সভাধিপতি শীলা দাস জানান, "অতি নিন্দনীয় ন্যাক্কারজনক ঘটনা। আমরা পরিবারের সাথে আছি। আমরা চাই অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক"।

No comments:
Post a Comment