মাধ্যমিক পরীক্ষার মধ্যেই সারা রাত ডিজে বাজিয়ে চলল নাচ-গানের আসর - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Saturday, 22 February 2020

মাধ্যমিক পরীক্ষার মধ্যেই সারা রাত ডিজে বাজিয়ে চলল নাচ-গানের আসর




নিজস্ব সংবাদদাতাঃ  রায়গঞ্জ থানার মারাইকুড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ভিটি কাটিহার গ্রামে দুই দিন যাবৎ মাধ্যমিক পরীক্ষার মধ্যে সারা রাত্রি ডিজে বাজিয়ে চটুল নাচের আসর চলল। ডিজের আওয়াজে সাধারন মানুষ থেকে মাধ্যমিকের ছাত্রছাত্রীরা চরম সমস্যায় পড়েন। অভিযোগ,  ১০০ নম্বরে ডায়াল করলেও পুলিশের পক্ষ থেকে কোন রকম পদক্ষেপ নেওয়া হয় নি। রায়গঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি মানস ঘোষ ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন। যারা এর আসর বসিয়েছিল তাদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য রায়গঞ্জ থানার আইসিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। তবে রায়গঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার সুমিত কুমার জানিয়েছেন, এধরনের কোনও অভিযোগ তাদের কাছে জমা পড়েনি, তবুও বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন। যদিও ওই উদ্যোক্তাদের খোঁজ গ্রামবাসীদের কাছে করলেও গ্রামের এক প্রান্তের গ্রামবাসীরা দাবী করেছেন তারা গ্রামের অন্য প্রান্তে থাকেন, আবার অন্য প্রান্তে গেলে সেখানকার বাসিন্দারা ঠিক উলটো দিকে উদ্যোক্তাদের বাড়ী বলে দাবী করেছেন। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে গ্রামবাসীরা উদ্যোক্তাদের চেনেন না নাকি চিনতে ভয় পাচ্ছেন?

রায়গঞ্জ থানার ভিটিকাটিহার গ্রামে স্থানীয় কিছু মানুষ এক চটুল নাঁচের আসর বসিয়েছিল। টিকিটের দাম করা হয়েছিল ৪০ টাকা বলে খবর। সারা রাত ধরে চলে এই চটুল নাঁচ। মাইকের আওয়াজে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের পড়াশুনা শিকেয় ওঠে। শিক্ষাননুরাগী কিছু মানুষ পুলিশের ১০০ নম্বরে ডায়ালে করে অভিযোগ জানালেও কাজের কাজ কিছুই হয় নি বলে অভিযোগ। পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের জানানো হয়, ভিটিকাটিহার গ্রাম রায়গঞ্জ থানা থেকে বহু দূরে। তাই পুলিশ সেখানে যেতে পারছে না। ভিলেজ পুলিশকে সেখানে পাঠানোর আশ্বাষ দিলেও ভিলেজ পুলিশ সেখানে যায় নি। শুক্রবার ভোরে সেই আসর শেষ হয়। আসর শেষ হওয়ার পরই মঞ্চ ভেঙে ফেলা হয়। উদ্যোক্তাদের কারও নাগাল পাওয়া যায় নি। রায়গঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি মানস ঘোষ জানিয়েছেন, এই ঘটনা কোনভাবেই মানা যাবে না।ৎএলাকায় সংস্কৃতি নষ্ট হচ্ছে। উদ্যোক্তাদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুলিশ সুপার  সুমিত কুমার জানিয়েছেন, তাদের কাছে এধরনের কোন অভিযোগ নেই। কেউ ১০০ নম্বরে ডায়াল করলে থানা ফাঁড়িতে কেন অভিযোগ জানায়নি, প্রশ্ন পুলিশ সুপারের।


No comments:

Post a Comment

Post Top Ad