বর্ধিত বেতন ও সাত দফা দাবীতে কালিয়াগঞ্জের এসআইকে শিক্ষক সংগঠনের ডেপুটেশন প্রদান

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ  জানুয়ারী মাসে লাগু হওয়া নয়া পে কমিশন অনুসারে না পাওয়া বর্ধিত বেতন চলতি ফেব্রুয়ারিতে এরিয়ার হিসেবে মেটানোর দাবি সমেত সাতদফা দাবি নিয়ে বৃহস্পতিবার  উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক দপ্তরে ডেপুটেশন দিল বিজেপির প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠন। বঙ্গীয় নবউন্মেষ প্রাথমিক শিক্ষক সংঘের কালিয়াগঞ্জ দুইনম্বর চক্রের তরফে এই ডেপুটেশন দেওয়া হয়।

এদিন বিকেল সাড়ে ৩ টায় শুরু হয় এই ডেপুটেশন। সংগঠনের চক্র সম্পাদক শুভময় রায়ের নেতৃত্বে এই ডেপুটেশন অংশ নিয়েছিল পলাশ সেন, প্রজিত কুমার সাহা, মিঠুন রায়, মুন্না দাস, প্রশান্ত কর্মকার প্রমুখ। শহরের হাসপাতাল পাড়ায় শিক্ষা দপ্তরের দুইনম্বর চক্র অফিসে এসআই তানিয়া রুবায়েত ইসলামের হাতে দাবিপত্র তুলে দিয়ে আলোচনায় বসে বিজেপির প্রাথমিক শিক্ষক সংঘের নেতৃত্ব। দাবিগুলি নিয়ে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস মিললে শান্তিপূর্ন ভাবে শেষ হয় এই ডেপুটেশন।

এদিন বিজেপির প্রাথমিক শিক্ষক সংঘের এই ডেপুটেশন শেষে সংগঠনের সম্পাদক জানান, অপর দাবিগুলি ছিল পে ফিক্সেশনের কাজ অফিস স্টাফ দিয়ে করতে হবে, অন্যথায় প্রতিটি শিক্ষক সংগঠনের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে দ্রুত কাজটি সমাপ্ত করতে হবে। পিএফের স্টেটমেন্ট ডিআই অফিস থেকে দেওয়া সত্বেও শিক্ষক, শিক্ষিকারা সেই হিসেব পাওয়া থেকে বঞ্চিত থাকলো কেন! সমস্ত শিক্ষক সংগঠনের উপস্থিতিতে দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা সার্ভিসবুক আপডেটের কাজ দ্রুত শুরু করতে হবে। ২০১৪ সালের পর থেকে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ স্থগিত হয়ে আছে,  এ বিষয়ে দ্রুত কার্যকরি পদক্ষেপ নিতে হবে। নতুন নির্দেশানুসারে অধিকাংশ স্কুলে এখন ছয়টি শ্রেণীতে পড়াশোনা হচ্ছে। এছাড়াও শিক্ষা সংক্রান্ত নানা কাজের দায়িত্ব শিক্ষকদের উপর ন্যাস্ত থাকায় শিক্ষার মূল বিষয়টি বিঘ্নিত হচ্ছে। তাই প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে করনিক বা শিক্ষাকর্মী নিয়োগ করতে হবে। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর ও ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসের এরিয়ার ফেব্রুয়ারি মাসের বেতনের সঙ্গে মেটাতে হবে।