রায়গঞ্জের এই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঝা চকচকে পরিবেশ নজর কাড়বে আপনারও - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Tuesday, 25 February 2020

রায়গঞ্জের এই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঝা চকচকে পরিবেশ নজর কাড়বে আপনারও




নিজস্ব সংবাদদাতাঃ  ঝা চকচকে ও সাজানো এই বিদ্যালয় কোন বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় নয়, এটা আর ৫ টা সাধারণ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। সদিচ্ছা আর স্বচ্ছ মানসিকতা  দিয়ে বিদ্যালয়কে কিভাবে সর্বাঙ্গীণ সুন্দর গড়ে তোলা যায় তার নিদর্শন হয়ে দাঁড়িয়েছে উত্তর দিনাজপুর জেলার  রায়গঞ্জ ব্লকের পশ্চিম মহাদেবপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়। সরকারী অনুদানের সম্পূর্ণ ব্যবহার করে এই বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বিদ্যালয়কে শুধু সুন্দর করেই সাজিয়ে তোলেননি, করে ফেলেছেন এক আধুনিক বিদ্যালয়। কি নেই এই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে, আধুনিক পানীয় জলের ফিল্টার, টিফিন পিরিয়ডে সুন্দর সাউন্ড সিস্টেমে গান ঘোষনা, সুন্দর ফুল, ফল, ভেষজ বাগান, দোলনা, সী-স, চলাচলের ঢালাই রাস্তা, সুন্দর ডাইনিং ঘর, ইলেট্রিক আলো ও ফ্যান এমনই ধরনের আরও অনেক কিছুর সাথে আছে মনোরম পরিবেশ৷ আর এই সব কিছুই গড়ে তোলা হয়েছে আর ৫ টা বিদ্যালয়ের মতো পাওয়া সরকারী অনুদান থেকেই।

এই স্কুলের এক শিক্ষক অলোক দত্ত জানিয়েছেন, তারা নিজেদের সম্মিলিত প্রয়াসকে কাজে লাগিয়ে স্কুলকে সুন্দর করার চেষ্টা করেন। যে যেই কাজে পারদর্শী সে সেই ভাবেই নিজের সদিচ্ছার প্রয়োগ করেন স্কুলের উন্নতির জন্য৷ অলোক বাবুর দাবী এইভাবে সদিচ্ছা নিয়ে কাজ করলে সরকারি সব স্কুলগুলোই এভাবে সাজানো যেতে পারে।  স্কুলের টিচার্চস কমন রুমে আছে আমাদের দোকান লেখা এক আলমারী। পাইকারী বাজার থেকে খাতা, পেন্সিল, রাবার, পেন এই জাতীয় পড়ুয়াদের ব্যবহারের জিনিষ কিনে এনে সাজানো আছে, আছে স্টক ও সেল রেজিস্ট্রার, যা মেইনটেইন করে স্কুলের পড়ুয়ারাই। স্কুলের পড়ুয়ারা শিক্ষালাভে তাদের প্রয়োজনীয় স্টেশনারী এখান থেকেই কেনে। প্রথমত তারা পাইকারী দরে নিজেদের প্রয়োজনীয় ষ্টেশনারী পাচ্ছে, দ্বিতীয়ত তারা শিখছে যোগ বিয়োগ, শিখছে নিজস্ব ব্যবসা পরিচালনা করা।

স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা কৃষ্ণা তালুকদার দাস জানালেন, স্কুলে সকলে একসাথে মিলে কাজ করা হয়। স্কুলকে সর্বাঙ্গীণ সুন্দর করতে দরকার সদিচ্ছা ও স্বচ্চ মানসিকতার, যা স্কুলের সব শিক্ষক শিক্ষিকার মধ্যেই আছে। পাশাপাশি আক্ষেপের সাথে কৃষ্ণা দেবী জানিয়েছেন, তারা যে বাড়তি কাজগুলো বিদ্যালয়ে করে ফেলেছেন সেই কাজের সরকারি অনুদান তারা আর পান না। তারা যে সেই অনুদান পেলে স্কুলকে আরও সুন্দর করতে পারবেন সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা। কৃষ্ণা দেবী আমাদের কাছে দাবী জানিয়েছেন, "এমন কিছু করুন না, যাতে আমরা নিজেদের আগাম করা উন্নয়নের সরকারি অনুদানগুলো পাই। যাতে স্কুলটাকে আরও সাজানো যায়।"

এই স্কুলে আসলে যে কেউ দেখতে পাবেন স্কুলের উন্নতি সাধনে স্কুলের শিক্ষকদের স্বচ্ছ মানসিকতা ও সদিচ্ছা স্কুলের সব জায়গায় পরতে পরতে দেখা যায়।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad