নিজস্ব সংবাদদাতাঃ মার্চের তিন তারিখ উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে কালিয়াগঞ্জ স্টেট জেনারেল হাসপাতালের স্বাস্থ্য পরিসেবার হাল হকিকৎ নিয়ে শনিবার রোগী কল্যান সমিতির বৈঠক বসলো। এদিন বিকেল ৪ টায় এই বৈঠক শুরু হয় হাসপাতালের সুপার অফিসে। হাসপাতালের আরকেএস চেয়ারম্যান কার্তিক পালের সভাপতিত্বে এই বৈঠকে ছিলেন কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক তপন দেবসিংহ, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দীপা সরকার ও আমন্ত্রিত সদস্য জেলা পরিষদের কো-মেন্টর অসীম ঘোষ। সুপার ডাঃ প্রকাশ রায় সহ আরকেএসের সদস্য হাসপাতালের অপর চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীরা বৈঠকে ছিলেন। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বিনা নোটিশে সরকারি হাসপাতাল পরিদর্শন করে থাকেন। কালিয়াগঞ্জ প্রশাসনিক রিভিউ মিটিং করতে এসে যদি মুখ্যমন্ত্রী ঢুকে পরেন হাসপাতালে! এই বিষয়টি মাথায় রেখে এদিনের বৈঠকে হাসপাতালের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করে রোগী কল্যান সমিতি।
প্রস্তাবিত চিকিৎসক পোস্টের তুলনায় অর্দ্ধেকের কম ডাক্তার নিয়ে চলছে কালিয়াগঞ্জ রাজ্য সাধারন হাসপাতাল। চক্ষু বিশেষজ্ঞ নেই। দাঁত ও নাক,কান,গলার ডাক্তার থাকলেও পরিকাঠামোর অভাবে তেমন কোন চিকিৎসা হয় না। নেই ভালোমানের এক্সরে মেশিন। ফলে ধুকছে এক্সরে বিভাগ। নানা সমস্যা নিয়ে কালিয়াগঞ্জের শতশত মানুষকে প্রতিদিন চিকিৎসা পরিসেবা দিয়ে চলেছে এই হাসপাতাল। নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও কালিয়াগঞ্জ স্টেট জেনারেল হাসপাতাল সিজার ও নরম্যাল সন্তান প্রসবে নতুন দিশা দেখাচ্ছে। প্রাতিষ্ঠানিক প্রসবে ভালো কাজ এবং নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনা কালিয়াগঞ্জে প্রায় নেই। সৌজন্যে কালিয়াগঞ্জ হাসপাতালের প্রসুতি ও শিশু চিকিৎসকদের মিলিত প্রয়াস। কিন্তু সমস্যা হাত, পা ভাঙ্গলেই। এই হাসপাতালে নেই অর্থপেডিক চিকিৎসক। ফলে হার ভাঙ্গা কেস হলেই কালিয়াগঞ্জের মানুষকে ছুটতে হচ্ছে রায়গঞ্জে। এতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে দরিদ্র মানুষদের।
হাসপাতাল ভিজিটে মুখ্যমন্ত্রী না এলেও আসতে পারেন রাজ্য স্বাস্থ্য কর্তারা। তাই কালিয়াগঞ্জ রাজ্য সাধারন হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতা থেকে পরিসেবা নিয়ে এদিন দীর্ঘ আলোচনা হয়। এদিন কালিয়াগঞ্জ স্টেট জেনারেল হাসপাতালের রোগী কল্যান সমিতির বৈঠক প্রসঙ্গে পুরপ্রধান কার্তিক পাল জানান, এটা রুটিন বৈঠক ছিল। তবে মুখ্যমন্ত্রী কালিয়াগঞ্জে আসছেন তিন মার্চ৷ তাই সে বিষয়টি নজরে রেখে আলোচনা হয়। চিকিৎসক সংকট সত্ত্বেও কালিয়াগঞ্জ এসজি হাসপাতাল স্বাস্থ্য পরিসেবা প্রদানে খুব ভালো কাজ করছে। কিছু সমস্যা অবশ্যই আছে। সেগুলি কি ভাবে মেটানো যায়, তা নিয়ে আলোচনা চলছে। কালিয়াগঞ্জ স্টেট জেনারেল হাসপাতালকে ২৫০ শয্যায় উন্নিতকরনের যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, তার অগ্রগতি নিয়েও আলোচনা হয়।

No comments:
Post a Comment