জ্বলছে দিল্লি: নিহতের সংখ্যা বেড়ে হল ১৭ - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Wednesday, 26 February 2020

জ্বলছে দিল্লি: নিহতের সংখ্যা বেড়ে হল ১৭




দিল্লিতে ভয়াবহ সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ জনে। সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য এমনটাই বলছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জরুরি বৈঠকে বসেছেন কর্মকর্তারা।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তা, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, উপরাজ্যপাল অনিল বৈজল এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আগেই উদ্যোগ নিয়েছিলেন । এবার দিল্লির স্বাভাবিক অবস্থা ফেরাতে আসরে নামলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার লক্ষ্যে রাতেই দিল্লি পুলিশ এবং আধা সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। প্রায় মাঝরাতে তিনি হিংসা কবলিত উত্তরপূর্ব দিল্লির বিস্তির্ণ অঞ্চল সরেজমনিতে ঘুরে দেখেন। দেখা করেন উত্তর-পূর্ব দিল্লির ডেপুটি কমিশনারের সঙ্গে। বুধবার সকালে ফের হিংসা কবলিত এলাকা ঘুরে দেখেন তিনি।

দিল্লি পুলিশ এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ইতিমধ্যেই দাবি করেছে, দিল্লির পরিস্থিতি একপ্রকার নিয়ন্ত্রণে। তাছাড়া সেনা নামানোর সম্ভাবনাও খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। বুধবার সকালে খুলে দেওয়া হয়েছে মেট্রো স্টেশনগুলি। কিন্তু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক যাই দাবি করুক, পরিস্থিতি এখনও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। বুধবার সকালেও ঘটেছে বিক্ষিপ্ত হিংসার ঘটনা। উন্মত্ত জনতার রোষ থেকে বাদ যাচ্ছে না সমাজের কোনও অংশের মানুষই। প্রাথমিকভাবে নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে জড়ালেও পরে তাদের ‘টার্গেট’ হয়ে উঠেছে পুলিশ ও নিরাপত্তাবাহিনী। এরপর আক্রমণ করা হয় খবর সংগ্রহে আসা সাংবাদিকদেরও। মঙ্গলবার এক বৈদ্যুতিন মাধ‌্যমের কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর। আহত হয়েছেন আরও জনাপাঁচেক। ইতিমধ্যেই মৃতের সংখ‌্যা ১৭। আহত প্রায় দেড়শোর উপর, যার মধ্যে ৫৬ জন পুলিশকর্মী। ইতিমধ্যেই একজন হেড কনস্টেবল শহিদ হয়েছেন। গুরুতর আহত দুই আইপিএস অফিসার।

মাঝরাতে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বাড়ীর সামনে বিক্ষোভ করেছেন জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনীদের একটি অংশ। তবে এই পরিস্থিতিতেও সেনা নামানোর পক্ষে নয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। সূত্রের খবর, দেশের রাজধানীতে সেনা নামলে বিশ্বের কাছে খারাপ বার্তা যেতে পারে, এমন আশঙ্কা করেই এই সিদ্ধান্ত। তার উপর মার্কিন রাষ্ট্রপতি দিল্লিতে থাকায় তাঁর সঙ্গেই রয়েছে প্রচুর বিদেশি সংবাদমাধ‌্যমও। তাই আরও একটু ধৈর্য‌ নিয়ে চলতে চাইছেন অমিত শাহর মন্ত্রণালয়।







সূত্র: কালের কণ্ঠ

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad