২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট পেশ করা হয়েছে। শনিবার বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। এবারের বাজেটে নতুন কর কাঠামোয় আয়কর কমানো হয়েছে।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোতে বলা হয়, আগামী অর্থবছরের আর্থিক বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ১০ শতাংশ ও রাজকোষের ঘাটতি ৩.৮ শতাংশ বেঁধে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নতুন কর কাঠামোয় বছরে সরকারের ৪০ হাজার কোটি টাকা আয় হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।
নতুন আয়কর কাঠামোয় ১০০টি কর ছাড়ের সুবিধার মধ্যে মাত্র ৩০টি মিলবে। তবে যারা পুরনো কর কাঠামোয় আয়কর দেবেন, তাদের ক্ষেত্রে পুরনো নিয়মই বলবৎ থাকছে। সেখানে ছাড়ের সুবিধা থাকছে। করদাতা বেছে নিতে পারবেন তিনি নতুন হারে আয়কর দেবেন না পুরনো হারেই কর দেবেন।
অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ঘোষণা করলেন, আড়াই থেকে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত বাৎসরিক আয়ে আগের মতোই আয়কর দিতে হবে। ৫ শতাংশ হারে। তবে ৫ থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত বাৎসরিক আয়ে এত দিন যে হারে (২০ শতাংশ) আয়কর দিতে হত, তার কিছু অদলবদল করা হয়েছে। ভাঙা হয়েছে দুটি ধাপে। ৫ থেকে সাড়ে ৭ লাখ টাকা পর্যন্ত বাৎসরিক আয়ে এবার আয়কর দিতে হবে ১০ শতাংশ হারে। আর সাড়ে ৭ লাখ টাকা থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত বাৎসরিক আয়ে দিতে হবে ১৫ শতাংশ হারে। ফলে, ৫ থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত বাৎসরিক আয়ের করদাতাদের কিছুটা স্বস্তি মিলল।
একইভাবে আয়করের হারে রদবদল ঘটানো হয়েছে। ১০ লাখ থেকে ১৫ লাখ টাকার বেশি বাৎসরিক আয়ে এতদিন যে হারে কর দিতে হত (৩০ শতাংশ), তা কিছুটা কমাতে ওই পর্যায়টিকেও ভেঙে দেওয়া হলো তিন ভাগে।
অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন তার বক্তব্যে বলেন, সরকার চায় না, করদাতারা নাজেহাল হোক বা কোনভাবে তাদের বিব্রত করা হোক। করদাতাকে নাজেহাল করা ফৌজদারি অপরাধ। তা ঠেকাতে আইন তৈরি করবে সরকার।
সূত্র: ইত্তেফাক
No comments:
Post a Comment