বৃহস্পতিতে জলের খোঁজ পেলেন বিজ্ঞানীরা - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Tuesday, 25 February 2020

বৃহস্পতিতে জলের খোঁজ পেলেন বিজ্ঞানীরা






কোথাও এতটুকু জলের অস্তিত্ব পাওয়া মানেই সেখানে অক্সিজেনের খোঁজ। আর অক্সিজেন থাকলেও প্রাণের ইঙ্গিত মিলবে, সেটাই স্বাভাবিক। তাই তো অন্যান্য গ্রহে জলের অস্তিত্ব পেতে হন্যে হয়ে খোঁজ চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। মঙ্গলের পর এবার আশা দেখালো বৃহস্পতি।

সৌরজগতের সবথেকে বড় গ্রহ হল এই বৃহস্পতি। গ্যাস এবং তরলে পরিপূর্ণ এই গ্রহ। এত ধরনের গ্যাসের মধ্যে সবসময়ে রাসায়নিক বিক্রিয়া চলতে থাকে। ফলে হাইড্রোজেন, অক্সিজেন এবং অনুঘটকের উপস্থিতিতে অনুকূল পরিবেশের বিক্রিয়ার পর জল তৈরি হবে কি না, তা এতদিন সঠিকভাবে বোঝা যাচ্ছিল না।

নাসার পাঠানো যান ‘জুনো’ এবার দিল সেই উত্তর। নেচার জার্নালে প্রকাশিত প্রতিবেদনটি থেকে জানা গিয়েছে, ২০১১ এবং ২০১৬ দু’বছর জুনোকে পাঠানো হয়েছিল বৃহস্পতিতে। তার পাঠানো তথ্য বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত হয়েছেন যে সর্ববৃহৎ গ্রহের বায়ুম-লে অন্তত ০.২৫ শতাংশ জল রয়েছে।

এমন একটা বায়ুম-লের স্তরে স্তরে প্রায় জলের অস্তিত্ব মিলতে পারে, তা ভাবতে পারেননি গবেষকরা। বায়ুম-লের একটা নির্দিষ্ট স্তরের নিচে মেঘ জমে। তাপমাত্রার হেরফেরে তা বৃষ্টির মতো ঝরবে বলে মনে করছেন তারা।

কিছুদিন আগে জানা যায়, যে মঙ্গলে জলের জন্য এত খোঁজ, সেখানে নাকি আস্ত সমুদ্র, এমনকি সুনামির ভয়ঙ্কর ঢেউও উঠেছিল সেই সমুদ্রে। তবে সবটাই প্রায় ৩৫০ কোটি বছর আগের ঘটনা। সম্প্রতি মার্কিন গবেষণায় এসব তথ্য মিলেছে। তখন কি বিপর্যয় হয়েছিল, তা জানা না গেলেও, মঙ্গলের উত্তর গোলার্ধে সমুদ্র সৈকতের অস্তিত্ব পেয়েছেন গবেষকরা।
সেই সুনামির চরিত্র কিন্তু পৃথিবীর থেকে অনেক আলাদা। দুটি উল্কাপিন্ডের আঘাতে কেঁপে উঠেছিল পুরো মঙ্গলপৃষ্ঠ। কয়েক বিলিয়ন বছর আগের কথা। এখন পর্যন্ত যা জানা গেছে তাতে, দু’টি উল্কা আঘাত হেনেছিল লালগ্রহে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, সেই উল্কা জলে এসে পড়ায় বিশাল বিশাল ঢেউ সমুদ্র ছাড়িয়ে পৌঁছে যায় উপকূলেও। সেই জলোচ্ছ্বাসের পরেই এক বিশাল এলাকাজুড়ে ক্ষতের সৃষ্টি হয়। আর এই সুনামির ক্ষত এখনও দৃশ্যমান মঙ্গল পৃষ্ঠে। সেটাই সম্প্রতি খুঁজে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা।








সূত্র: দৈনিক পূর্বকোণ

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad