কেনা মাংসে ক্যান্সারের জীবাণু লুকিয়ে আছে কিনা, বুঝে নিন এইভাবে

অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস, কর্মব্যস্ত জীবনযাত্রায় কখন, কী খাবার, কতটা নিয়ম মেনে খাওয়া উচিৎ তা সব সময় মেনে চলা সম্ভব হয় না। তার মধ্যে যোগ হয়েছে ভেজাল ভয়। খাদ্যে বিষক্রিয়া বা ভেজালের উপস্থিতি প্রতি দিনই আমাদের মৃত্যুর দিকে কয়েক কদম এগিয়ে দিচ্ছে। নিজেরাই যদি কিছু কিছু খাবার সহজ পরীক্ষার মাধ্যমে কিনতে পারি, তাহলে এড়ানো যায় অনেক মারণরোগ। যেমন- মাংস কেনার সময় একটু সচেতন থাকলেই বোঝা যাবে, যে মাংস কিনছেন, তা ক্যানসার আক্রান্ত পশু বা পাখির কি না।

বিশেষজ্ঞর মতে
ক্যান্সার বিশেষজ্ঞর মতে, ‘এমনিতেই চার পাশের দূষণ ও নানা রাসায়নিকের প্রভাবে আজকাল ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা দিনে দিনে বাড়ছে। তার ওপর প্রক্রিয়াজাত মাছ, মাংস থেকেও তা ছড়ায়। এখন কেনার সময় যদি অন্তত কিছু সচেতনতা অবলম্বন করা যায়, তা হলে অসুখ থেকে কিছুটা অন্তত দূরে থাকা যায়।’

সাবধানতা :

১. লালচে বা গোলাপি মাংস হলে ধরে নিতে হবে তা টাটকা
মাংস কেনার সময় প্রথমেই লক্ষ করুন তার রং। লালচে বা গোলাপি মাংস হলে ধরে নিতে হবে তা টাটকা। কিন্তু ধূসর মাংস মানেই তা বাসি। তবে লালচে বা গোলাপি মাংসের গায়ে হঠাৎ কোন কোন জায়গায় কিছুটা অংশ জুড়ে ধূসর বা ফ্যাকাশে রঙের কোন দাগ আছে কি না লক্ষ্য করুন। তেমন দাগ থাকলে আগেই বাদ দিন সেই মাংস। সাধারণত ক্যানসার আক্রান্ত পশুর মাংসে এই রকম দাগ দেখা যায়।

২. অস্বাভাবিক মাংসপিণ্ডের অস্তিত্ব
মাংস কেনার আগে ভালোমতো উল্টেপাল্টে দেখুন। বাড়তি বা অস্বাভাবিক মাংসপিণ্ডের অস্তিত্ব থাকলে এই মাংসে ক্যানসার জাতীয় অসুখের বীজ থাকার সম্ভাবনা খুবই বেশি। তাই এড়িয়ে চলুন সেটিও।

৩. কালচে কোন দাগ
মাংসের কোন অংশে কালচে কোন দাগ থাকলে সচেতন হোন। তাই এড়িয়ে চলুন সেটিও।

৪. গরম জলে ভিজিয়ে রাখুন
এ ছাড়া অন্যান্য অসুখ ঠেকাতে সব ধরনের মাংসই বাড়িতে এনে ধোওয়ার পর কিছুক্ষণ গরম জলে ভিজিয়ে রাখুন। এতে মাংস নরমও হবে, তাছাড়া কোন ছোটখাটো সংক্রমণ থাকলে সেটাও এড়ানো যাবে।

মাংস কেনার সময় সচেতন হন। মাংস বাড়িতে এনে ধোওয়ার পর কিছু ক্ষণ গরম জলে ভিজিয়ে রাখুন। এতে ছোটখাটো সংক্রমণ থাকলে তাকেও এড়ানো যাবে। কিন্তু ক্যানসারের মতো বড় অসুখ ঠেকাতে এই পদ্ধতি অবলম্বন করে কোনও লাভ নেই। সে ক্ষেত্রে মাংসটি বাতিল করাই একমাত্র উপায়।







সূত্র: বিডি24 রিপোর্ট