আপেল সাইডার ভিনিগারের ব্যবহার ও সতর্কতা - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Saturday, 1 February 2020

আপেল সাইডার ভিনিগারের ব্যবহার ও সতর্কতা




রান্নায় ব্যবহৃত হয় আপেল সিডার ভিনেগার। তবে শুধু রান্নার ক্ষেত্রেই নয়, আপেল সিডার ভিনিগারের উপকারিতার আরও নানা দিক রয়েছে। আপেল সিডার ভিনিগারের ক্ষেত্রে আপেলের রসে ইস্ট ও ব্যাকটিরিয়া মিশিয়ে তাকে প্রস্তুত করা হয়। স্বাস্থ্যকর নানা কারণে এই ভিনিগারকে ডায়েটে রাখার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরাও।

তবে দিনে বড় চামচের দু’চামচ বেশি আপেল সিডার খাবেন না, খেলেও চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নেবেন। এ ছাড়া যখনই এই ভিনিগার খাবেন, তা অবশ্যই জলের সঙ্গে মিশিয়ে পাতলা করে ফেলতে হবে। মূলতঃ শরীরচর্চার ক্ষেত্রে এই আপেল সিডারের কথা উঠলে অনেকেই কেবল ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণের দিকটাই ভাবেন, তবে এই বিশেষ উপকার ছাড়াও আপেল সিডারের আরও নানা কার্যকর দিক রয়েছে। আসুন জেনে নেই আপেল সিডার ভিনেগারের উপকারিতা সম্পর্কে-

১। এই ভিনেগার ব্যাকটিরিয়া মারতে সক্ষম বলে ডায়রিয়া সমস্যায় বিশেষ উপকারী। এক-দু’ চা চামচ ভিনেগার এক গ্লাস গরম জলে মিশিয়ে খেলে উপকার মিলবে।

২। ডায়াবেটিসের সমস্যায় এই ভিনেগার উপকারী। মূলতঃ ইনসুলিন তৈরি করতে না পারা বা ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্টের কারণেই রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়ে। খাওয়ার আধ ঘণ্টা আগে এক গ্লাস জলে এক চামচ আপেল সিডার মিশিয়ে খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে।

৩। গলাব্যথার ক্ষেত্রে আধ কাপ ঈষদুষ্ণ জলে দু’চামচ আপেল সিডার ভিনেগার ও মধু মিশিয়ে গার্গল করলে আরাম পাবেন অনেকটা।

৪। হজমের সমস্যাতে মেটাতেও এই ভিনেগার খুব কার্যকর। গরম জলে এক চামচ আপেল সিডার ভিনেগারে বদহজম থেকে মুক্তি মেলে সহজেই।

৫। শ্যাম্পু করার পর চুল ধুয়ে নিন আপেল সিডার ভিনেগার মেশানো জল দিয়ে। কন্ডিশনারের সমান উপকার পাবেন। চুল নরম হবে, ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতির জন্য খুশকির সমস্যাও কমবে দ্রুত।

৬। খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে ও ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে আপেল সিডার ভিনেগার খুবই উপকারী।




সূত্র: বাংলা ভয়েস

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad