বৃহস্পতিবার দুপুরে শাসন
থানার চোলপুর মাগরির সিঙ্গারাখোলের ভেড়ির জলের মাটির নিচ থেকে একটা প্ল্যাস্টিকে
মোড়ানো অবস্থায় কাটা মুন্ডুটি উদ্ধার করেছে পুলিশ।গৃহবধু খুনের ঘটনায় মুল অভিযুক্ত
আব্দুল নাইম মোল্লা(২৩)কে হাওড়ার ডোমজুর থেকে গত বুধবার গ্রেপ্তার করা
হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১ ফেব্রুয়ারির সাত সকালেই শাসনের মাগরি এলাকার ৬ নম্বর ভেড়ির জল থেকে হাড়োয়ার ২৩ বছরের এক গৃহবধুর মুন্ডুহীন দেহ উদ্ধার করেছিল শাসন থানার পুলিশ।
বারাসত আদালতের মাধ্যমে নিজেদের হেপাজতে নিয়েছিল পুলিশ। বৃহস্পতিবার মুল
অভিযুক্ত আব্দুল নাইম মোল্লাকে নিয়েই খুনের পুনর্গঠন করে শাসন থানার
পুলিশ।পুনর্গঠন করার সময় খুনের ঘটনাস্থল থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দুরের একটা ভেড়ি
থেকে গৃহবধুর কাটা মুন্ডু উদ্ধার করা হয়েছে।
জেলার পুলিশ সুপার অভিজিৎ ব্যানার্জি বলেন ফরিদা খাতুন(২৩) নামে ঐ গৃহবধুর সাথে
প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে ছিলেন অভিযুক্ত আব্দুল নাইম মোল্লা।কিন্তু পরবর্তী সময়ে
আব্দুল নাইম জানতে পারেন গৃহবধুর সাথে একাধিক পুরুষের সম্পর্ক ছিল।জানার পরেই
আব্দুল স্বামী পরিত্যক্তা গৃহবধুকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়।কিন্তু বিয়েতে সায় ছিল না
গৃহবধু ফরিদার।
সেই আক্রোশ থেকেই ফরিদাকে খুন করে আব্দুল।চপার দিয়েই তাকে খুন করা
হয়েছিল।খুনের পর তথ্য প্রমান লোপাটের জন্যই ফরিদার দেহ থেকে মুন্ডু কেটে অন্যত্র সরিয়ে রাখে আব্দুল।অভিযুক্তকে ১০ দিনের
পুলিশি হেপাজতে নেওয়া হয়েছে।

No comments:
Post a Comment