বিচারক বদলি, থমকে গেলো দিল্লি হাইকোর্টের রায় - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Thursday, 27 February 2020

বিচারক বদলি, থমকে গেলো দিল্লি হাইকোর্টের রায়





দিল্লি হাইকোর্টের বিচারক বদলি হতে না হতেই বদলে গেলো দিল্লি হাইকোর্টের রায়।  উস্কানিমূলক মন্তব্যের জন্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এখনই এফআইআর করা সম্ভব নয় বলে  বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে সময় চাইল দিল্লি পুলিস। আর  সেই আর্জিতে সাড়া দিয়ে ৪ সপ্তাহের সময় দিল হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিএন পটেল ও বিচারপতি সি হরিশঙ্করের বেঞ্চ।



এদিন দিল্লি   পুলিস এদিন আদালতে জানায়, উস্কানিমূলক মন্তব্যের জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার মতো পরিস্থিতি নেই। এফআইআর করলে হিতে বিপরীত হতে পারে। গতকালই বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে এফআইআর কেন হয়নি, সেই প্রশ্ন তুলেছিলেন বিচারপতি এস মুরলীধর। রাতারাতি তাঁকে বদলি করা হয়েছে।



দিল্লির হিংসায় কপিল মিশ্র, অনুরাগ ঠাকুরের মতো বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় গতকাল, বুধবার ক্ষুব্ধ  হয় বিচারপতি এস মুরলীধরের নেতৃত্বাধীন দুই সদস্যের বেঞ্চ। বেঞ্চের সামনেই চালানো হয়েছিল অনুরাগ ঠাকুর, কপিল মিশ্র, অভয় বর্মা ও পরবেশ বর্মাদের উস্কানিমূলক ভাষণের ভিডিয়ো। তারপরই বিচারপতিদের বেঞ্চ প্রশ্ন করে, উস্কানিমূলক মন্তব্য করার পরও কেন তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি? অবিলম্বে পুলিসকে এফআইআর দায়ের করার নির্দেশ দেয় আদালত।



বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহরা জানান, উস্কানিমূলক মন্তব্য সনাক্ত করে এফআইআর দায়ের করার জন্য সময় দরকার। তিনটি উস্কানিমূলক মন্তব্য দেখানো হয়েছে। কোনটা উস্কানিমূলক মন্তব্য তা ঠিক করে পারেন না মামলাকারী। নির্বাচিত উস্কানিমূলক মন্তব্য সনাক্ত করতে পারে না পুলিস। এফআইআর করার মতো পরিস্থিতি নেই বলেও আদালতে জানান তুষার মেহরা। সরকারপক্ষের আইনজীবীর আর্জিতে সাড়া দিয়ে হাইকোর্ট ৪ সপ্তাহের সময় দিয়েছে। মামলার পরবর্তী শুনানি ১৩ এপ্রিল।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad