উত্তর ২৪ পরগনা বসিরহাট
মহকুমার টাকি পৌরসভার ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে টাকি পর্যটনকেন্দ্র ভারতবর্ষ তথা
বিশ্বের মানচিত্রে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে
স্বীকৃতি পেয়েছে। একদিকে ওপার বাংলা পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় কেন্দ্রবিন্দু।
নিজের চোখে চাক্ষুষ করে দেখা এপার বাংলা
থেকে ওপার বাংলা।
কিন্তু যেভাবে টাকি পৌরসভার ইছামতীর পাড়ে সারা বছর ধরে পর্যটকের
ঢল নামে, তাতে ইছামতি নদীর দূষণ একপ্রকার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। যার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত
হচ্ছে নদীর মাছ। দিনে দিনে নদীর চরিত্র পাল্টাচ্ছে। যার ফলে স্থানীয় বাসিন্দা
থেকে গেস্ট হাউসের মালিকদের থেকে বিএসএফের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
পর্যটন কেন্দ্র ও
সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মেলবন্ধন তৈরি হয়েছে নদীর দূষণ প্রতিরোধ করাই মূল লক্ষ্য। তাই তারা সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সঙ্গে হাত
মিলিয়ে পর্যটকদের কাছে আবেদন জানিয়েছেন, টাকির পাড়ে বড় বড়
ফেস্টুন লাগাতে। বলছেন কোনমতে
ইছামতি দূষণ করবেন না, নদীতে প্লাস্টিক
নোংরা আবর্জনা ফেলবেন না।
পর্যটকদের নির্দিষ্ট জায়গায় তাদের প্লাস্টিক
থেকে শুরু করে আবর্জনা রাখার জন্য ডাস্টবিন দেওয়া হচ্ছে। কমবেশি প্রায় সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে পঁচিশটা
টাকি গেস্ট হাউস আছে। একদিকে মালিক ও তাদের কর্মচারী সঙ্গে ৮৫ নম্বর সীমান্তরক্ষী
বাহিনীর কমান্ডার আর টাকি পর্যটনকেন্দ্রে
সম্পাদক প্রদ্যুৎ দাস সমাজসেবী ফারুক গাজী সঙ্গে কয়েকশ কর্মী মিলিত হয়ে দূষণের
প্রতিরোধে নেমেছে আজ শুক্রবার সকাল থেকে।
এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছে স্থানীয়
বাসিন্দার। বিশেষ করে পর্যটকদের কাছে
ইছামতি দূষণ প্রতিরোধে এক নয়া বার্তা দিলেন তারা। সারা বছর ধরে সর্বত্রই লাগাতার এই কর্মসূচি
নিয়েছেন বলে জানালেন তারা। বিশেষ
তাৎপর্যপূর্ণভাবে এখন থেকে টাকির পর্যটন
কেন্দ্রের পক্ষ থেকে সারাবছর ইচ্ছামতী নদী পাড় বরাবর দিন রাতে নজরদারি চালানো হবে।

No comments:
Post a Comment