নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বিধানসভায় আজ বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান ও সুজন চক্রবর্তী যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন করলেন এবং এই সাংবাদিক সম্মেলনের মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল এনআরসি ও সিএএ নিয়ে দেশব্যাপী যে আন্দোলনের ঝড় উঠেছে, সেই আন্দোলন যাতে আরও ত্বরান্বিত করা যায়, সেই জন্য রাজ্য সরকার তথা তৃণমূল কংগ্রেসকে এককভাবে পাওয়ার জন্য যাতে আন্দোলন আরও সুদৃঢ় হয় এবং মোদি সরকারকে টলানো যায়, সেই উদ্দেশ্যে আব্দুল মান্নান মমতা ব্যানার্জীকে চিঠি লিখে বিধানসভার বাইরে ও ভেতরে যৌথ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে দিলেন। সেই সঙ্গে যে কদর্য ভাষায় রেলের জিয়াদ বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে বলেছে, যারা যারা সম্পত্তি নষ্ট করেছে, সেই সম্পত্তি তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হবে, সেই প্রসঙ্গে মমতা ব্যানার্জী রেলমন্ত্রী থাকাকালীন যে আইন হয়, যে কারণ তৈরি করেছিল যে, রেলের সম্পত্তি যে বা যারা নষ্ট করবে তার দায়ভার তাদের নিতে হবে সেই কলঙ্কময় দিন আজ প্রস্তাবিত হচ্ছে। এই যে এনআরসি ও সিএএ নিয়ে চারদিকে ভাঙচুর হয়েছে, জনগণকে তার দায়ভার নিতে হবে স্পষ্ট ভাবে এটা জানিয়েছে।
সেই সঙ্গে এখন আধার কার্ড সংশোধনের কাজ চলছে রাজ্যের সবকটি জেলায়।
সুজন চক্রবর্তী বলেন যে, ১৯৫১ সালের নিয়ম অনুযায়ী আধার কার্ড সংশোধন তালিকা ভোটার লিস্ট অনুযায়ী অনলাইনে হওয়া উচিৎ, সেটাই বাঞ্ছনীয় এবং উনি তো প্রথমেই এনপিআর-এর কাজ শুরু করে দিয়েছিলেন এবং ২০০৩- এ অটল বিহারী বাজপেয়ীর মন্ত্রীসভা সেই এনপিআর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল, সেখানে তিনি সমর্থন করেছিল, আজক তার মানে ডাল মে কুচ কালা হে এই দ্বিচারিতা মনোভাব বাংলার মানুষ তার জবাব দেবে। সুজন চক্রবর্তী বললেন ও রাজ্যপাল আজ রাজভবনে রাজ্যপালের টুইট ঘিরে সারা রাজ্যে প্রতিবাদের ঝড় উঠে লর্ড কার্জন যে চেয়ারে বসে বঙ্গভঙ্গ সই করেছিলেন সেই চেয়ারে বসা পশ্চিম বাংলার জনগণ হিসেবে তাদের লজ্জা সেই প্রেক্ষিতে আজ রাজ্যপালকে কুলাঙ্গার ও ধিক্কার জানিয়েছে আব্দুল মান্নান বিরোধী দলনেতা ও সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। এছাড়া অন্যান্য বিষয়ে তিনি বলেছেন।
No comments:
Post a Comment