এরকম আরও হবে, জেএনইউ ঘটনায় দিলীপ ঘোষের হুমকি ঘিরে বিতর্ক - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Monday, 6 January 2020

এরকম আরও হবে, জেএনইউ ঘটনায় দিলীপ ঘোষের হুমকি ঘিরে বিতর্ক





নিজস্ব সংবাদদাতাঃ জেএনইউ ক্যাম্পাসে মুখোশ আঁকা। দুষ্কৃতিদের তাণ্ডব ও ছাত্রী অধ্যাপকের আক্রান্ত ও রক্তাক্ত হওয়ার ঘটনায় যখন দেশ জুড়ে ধিক্কার উঠেছে, ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নির্মলা সীতারামন , জয়শংকর, তখন আক্রমনের ঘটনাকে কার্যত সমর্থন করলেন বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘােষ। তাণ্ডব চালিয়েছে, বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘোষের দাবিতে, দেশের বিভিন্ন রাজ্যে গেরুয়া শিবিরের কেউ মার খেলে এমন ক্ষোভ দেখা যায় না। কিন্তু কমিউনিস্টরা মার খেলেই যত গােলমাল হয় এখানেই।  থেমে তিনি বলেন, “কমিউনিস্টদের মার খাওয়ার সময়। হয়েছে, এমনটা আরও হবে।”

সােমবার সকালে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে ঘেরাওয়ের প্রসঙ্গ সামনে এনে একটি সংবাদমাধ্যমকে দিলীপ ঘোষ বললেন, “যাদবপুরে যখন মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে হেনস্থা করা হয়, তখন কাউকে মুখ খুলতে দেখা যায়নি। মুখ্যমন্ত্রী তখন ট্যুইট করেননি। বছরের পর বছর ধরে এসএফআই শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস চালিয়েছে। সবার মুখ তখন বন্ধ ছিল। আর এখন যেই কমিউনিস্ট মার খেয়েছে, তখনই হইচই শুরু হয়ে গিয়েছে। আসলে কমিউনিস্টদের মার খাওয়ার সময় এসে গিয়েছে।”

ছাত্রছাত্রীদের অভিযােগ, ক্যাম্পাসে ঢুকে কোনও বিচার না করে মারধর চালায় গুন্ডারা। অনুমান করা হচ্ছে, ধারালাে কোনও কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে ঐশীর মাথায়।। গুরুতর জখম অবস্থায় এইমসের ট্রমা কেয়ার ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে তাকে। একটি ভিডিওতে ঐশী জানিয়েছেন, ‘মুখোশ পরা গুন্ডারা আমার উপর নৃশংস ভাবে আক্রমণ করেছে। প্রচণ্ড মেরেছে আমায়। রক্ত পড়ছে।" জেএনইউ ছাত্র সংসদ এর তরফে জানানো হয়েছে, মুখ ঢাকা। দুষ্কৃতিরা সকলেই এবিভিপির সদস্য। সবরমতী গার্লস হোস্টেলে ঢুকে রীতিমত তাণ্ডব চালানাে হয়েছে, ভাঙচুর করা হয়েছে হোস্টেলের সম্পত্তি। ঐশীর পাশাপাশি গুরুতর ভাবে আহত হয়েছেন অধ্যাপিকা সুচরিতা সেন। আহত হয়েছেন সাধারণ সম্পাদক সতীশ চন্দ্র যাদবও। ওই সংবাদ মাধ্যমের পক্ষে ঘােষকে প্রশ্ন করা হয়, তবে কি এবিভিপি-র এই হামলাকে সমর্থন করছেন তিনি? এই প্রশ্নের উত্তরে দিলীপ বলেন, “কে বা কারা মেরেছে সেটা জানি না। অভিযোগ উঠলেও তাদের কিছু প্রমাণিত হয় না। তবে এটা মানতে হবে যে কমিউনিস্টদের মার খাওয়ার সময় এসেছে।”

নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে এবং জামিয়া মিলিয়া প্রহৃত পড়ুয়াদের সমর্থনে বেশ কয়েক দিন ধরেই বিক্ষোভ আন্দোলন চলছে জেএনইউ-তে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের বক্তব্য, এই অবস্থায় গেরুয়া বাহিনীর নজরে রয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়। আর তার থেকে এই হামলার অভিযোগ উঠেছে। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের এবিভিপি-র গুন্ডারা মুখ ঢেকে হামলা চালায়। রবিবার সন্ধ্যার এই ঘটনায়  দেশজুড়ে নিন্দা ছড়িয়েছে। এবার দিলীপ ঘোষের বক্তব্য নতুন বিতর্ক তৈরি করল। ইতিমধ্যেই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে ক্যাম্পাস উত্তাল হতে শুরু করেছে। সোমবার দিল্লি পুলিশের সদর দপ্তর ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছে।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad