নিজস্ব সংবাদদাতাঃ নিজের বিক্রি করা লটারির টিকিটে উঠল পঞ্চাশ লক্ষ টাকা। বাঁকুড়া শহরের রাস্তায় ঘুরে ঘুরে লটারির টিকিট বিক্রি করেন । নিজের বিক্রি করা টিকিটে দিন কয়েক আগেই উঠেছে পঞ্চাশ লক্ষ টাকা । কমিশন বাবদ এক লক্ষের কিছু বেশি টাকা পেয়েছেন ওই এজেন্ট । এমন খুশির দিনে খাওয়া-দাওয়া হবে না তা কি করে হয়! অগত্যা বিপুল ভোজের আয়োজন। তবে না, ইয়ার বন্ধু বা কোন আত্মীয়-স্বজনদের জন্য নয় । কমিশনের টাকার একাংশ দিয়ে পথ কুকুরদের পাত পেড়ে পেট পুরে খাওয়ালেন এজেন্ট ও তাঁর সহকারীরা ।
বাঁকুড়া শহর লাগোয়া কেশিয়াকোলের বাসিন্দা দেবু গড়াই । রুজি রুটির জন্য তিনি বছে নিয়েছেন লটারির টিকিটের ব্যবসা । পুঁজির অভাবে কোন দোকান করে নয়, হাতে টিকিট নিয়ে সাত সকালেই বাঁকুড়া শহরের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়েন দেবু গড়াই । দিনভর শহরের আনাচ কানাচ ঘুরে পথ চলতি মানুষের কাছে লটারির টিকিট বিক্রি করেন । গত মাসের মাঝামাঝি তাঁর বিক্রি করা একটি টিকিটে পঞ্চাশ লক্ষ টাকা পুরস্কার পান এক ক্রেতা । নিয়ম অনুযায়ী বিক্রি করা টিকিটে পুরস্কার উঠলে সেক্ষেত্রে একটা নির্দিষ্ট অঙ্কের কমিশন পান এজেন্ট । সেই কমিশন বাবদ দেবু গড়াই দিন দুই আগে এক লক্ষের কিছু বেশি টাকা পায়। আর সেই টাকা পেতেই নিজের দীর্ঘদিনের মনের ইচ্ছা পূরণে উঠেপড়ে লেগে পড়ে দেবু । সব আয়োজন করে সেদিন সকালে বন্ধু বান্ধবদের নিয়ে গন্ধেশ্বরী নদীর পাড়ে যাচাই মাংস ও খিচুড়ি খাওয়ার ব্যবস্থা করে দেবু ও তাঁর সঙ্গীরা । তবে এই যাচাই খাওয়া দাওয়ার আয়োজন কোন মানুষের জন্য নয় , আয়োজন পথ কুকুরদের । রীতিমত পথ কুকুরদের ডেকে এনে পাত পেড়ে পেট পুরে মাংস খিচুড়ি খাওয়ালেন দেবু ও তাঁর সঙ্গীরা । বাঁকুড়া শহরের সতীঘাট এলাকায় রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে পথ কুকুরদের খুঁজে তাদেরও খাওানো হল পেট পুরে । দেবু গরাই এর দাবী মনের তাহিদেই এই কাজ তিনি করেছেন । দেবুর এই কাজে খুশি তাঁর বন্ধু বান্ধবরাও ।
No comments:
Post a Comment