কয়েক বছর আগে পেনের একটি ঢাকনা গিলে ফেলেছিল আট বছরের ছেলেটি। সেই ঘটনার তিন মাস পর থেকে শিশুটির চিকিৎসা শুরু হলেও পেনের ঢাকনা গিলে ফেলাটাই যে তার অসুস্থতার কারণ, তা ধরা যায়নি। অবশেষে গত শনিবার ব্রঙ্কোস্কোপি করে অসুখের কারণ বুঝতে পারে চিকিৎসকরা। জরুরি ভিত্তিতে অস্ত্রোপচার করে পেনের ঢাকনা বার করা হলেও সঙ্কট কাটেনি তার।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরের নেপালগঞ্জের বাসিন্দা রহমান মালিকের সাথে ঘটনাটি ঘটে।
পড়াশোনা করার সময়ই আচমকা পেনের ঢাকনা গিলে ফেলেছিল রহমান। পরিবারের সদস্যদের সামনেই ঘটনাটি ঘটেছিল কয়েক বছর আগে। সে সময়ে তাৎক্ষণিক কোনও শারীরিক অসুবিধা না হওয়ায় বিষয়টিকে তেমন গুরুত্ব দেয়নি তার পরিবার। কিন্তু দুইমাস পর থেকেই রহমানের কাশি শুরু হয়।
তার মামা আব্দুল জানান, চিকিৎসকদের পরামর্শ মতো একাধিক বার বুকের পরীক্ষা করানো হলেও কিছু ধরা পড়েনি। আট মাস পরে রক্তবমি শুরু হয় শিশুটির। হাসপাতালে ভর্তির পর অ্যান্টিবায়োটিক সেবনে রক্তবমি বন্ধ হলে, তিন সপ্তাহ পরে রহমানকে ছুটি দেওয়া হয়।
কিছুমাস পর একই সমস্যা দেখা দিলে ফের রহমানকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শিশুটির ব্রঙ্কোস্কোপি করে চিকিৎসকেরা বুঝতে পারেন, ফুসফুসের বাঁ দিকে ‘ফরেন পার্টিকল’ কিছু একটা আটকে রয়েছে। তৎক্ষণাৎ সেই ‘ফরেন পার্টিকল’ বার করতে অস্ত্রোপচার শুরু করেন চিকিৎসকরা। অস্ত্রোপচার সফলও হয়। কিন্তু বারো ঘণ্টা পরেও রোগীর জ্ঞান না ফেরায় চিকিৎসকেরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন।
অস্ত্রোপচারের পর আব্দুল বলেন, ‘‘সকালে ভাগ্নের শারীরিক অবস্থা এত খারাপ ছিল যে, ভেন্টিলেটরে দিতে হয়। এখন আইসিইউ-এ রয়েছে। জ্ঞান ফিরলেও বিপদ পুরোপুরি কাটেনি। পেনের ঢাকনার জন্যই যে এটা হচ্ছিল, সেটা আগে বুঝতে পারলে ভাল হত। ’’
চিকিৎসকরা জানান, ‘‘মাসের পর মাস কাশি। কফের সঙ্গে রক্ত উঠছে। অ্যান্টিবায়োটিক দিয়েও সারছে না। এ রকম হলে একবার ব্রঙ্কোস্কোপি করে দেখা উচিৎ শরীরে কোনও ফরেন পার্টিকল রয়েছে কি না। সচেতনতার অভাবে অনেক সময়ে অহেতুক জটিলতা তৈরি হয়। সেটা কাম্য নয়। ’’
সূত্র: বিডি প্রতিদিন
No comments:
Post a Comment