স্কুলের প্রথম দিনেই মিড ডে মিলের মেন্যুতে মাংস ভাত খাইয়ে তাক লাগিয়ে দিলেন প্রধান শিক্ষক - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Saturday, 4 January 2020

স্কুলের প্রথম দিনেই মিড ডে মিলের মেন্যুতে মাংস ভাত খাইয়ে তাক লাগিয়ে দিলেন প্রধান শিক্ষক


                                                                                                                         প্রতীকী ছবি



নিজস্ব সংবাদদাতাঃ স্কুলের প্রথম দিন। দিন আবার" বুক ডে"। তাই শিক্ষা বর্ষ শুরুর দিনেই তাক লাগিয়ে ছাত্রছাত্রী, পরিচালন সমিতি বা এলাকার অভিভাবকদের তাক লাগিয়ে এদের সকলের মন জয় করে নিলেন। হ্যাঁ,একদম প্রথম দিনে চার শতাধিক  ছাত্রছাত্রী পাত পেড়ে পরিবেশ বান্ধব শাল পাতার থালায় খেলেন মাংস, ভাত, পোস্ত, বাঁধা কপির তরকারি ও চাটনি৷ হৈচৈ করে খেলেন তারা৷ তাদের সাথে অভিভাবকেরাও খেলেন পাত পেড়ে। আর প্রধান শিক্ষকের এই কর্ম কান্ডে অভিভূত হয়ে গেলেন সকলেই। কারণ মাংস তো দূর অস্ত, মিড ডে মিলের দূরবস্থা ছিল প্রকট। আলু সিদ্ধ, কোন দিন বা একটু পোস্ত। আর মাংস??  তারা যে কবে খেয়েছে, তা তাদের মনেই নেই। স্কুলের মিড ডে মিলের দুরবস্থা দেখে হতবাক সদ্য জয়েন করা প্রধান শিক্ষকের। তাই নিজেই পকেট খরচা করেই এই আয়োজন করলেন। তাও আবার স্কুলের প্রথম দিনেই।

কিন্তু এই প্রধান শিক্ষক কে? 

তিনি সৌম্যজিত মাইতি। এর আগে দু বছর পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুর সার্কেলের বিদ্যালয় পরিদর্শকের পদে কাজ করেছেন। তাই এত দিন স্কুল গুলোর দুরবস্থা নিজে চোখে দেখেছেন। বিশেষত পিছিয়ে পড়া গ্রাম গুলির দুরবস্থা নিজে পদে থেকে মর্মে মর্মে অনুভব করেছেন। তাই সেই উচ্চ পদস্থ পদের চাকরিটা ছেড়ে এবার ছাত্র ছাত্রীদের সাথে থেকে তাদের সাথেই থেকে জীবনটা কাটিয়ে দিতেই তার এই উদ্ভট সিদ্ধান্ত। বিদ্যালয় পরিদর্শক  থেকে প্রধান শিক্ষক। তাও আবার গোঘাটের প্রত্যন্ত এলাকার একটি উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে যোগদান। তাই তিনি মিড ডে মিলকে চাঙ্গা করতে প্রথম ধাপেই শুরু করে দিলেন। যাতে খুশি স্কুলের ছাত্রছাত্রী থেকে অভিভাবকেরাও।

এত দিন তিনি প্রধান শিক্ষকদের নির্দেশ দিয়েছেন। আর এখন নিজেই প্রধান শিক্ষকের ভূমিকা পালন করে স্কুল উন্নয়নে ব্রতী হতে চেয়েছেন। এই ঘটনা গোঘাটের ভাদুর অঞ্চলের বাঘারবার্ড উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের।
এই স্কুলের একদিকে দ্বারকেশ্বর নদ, তো অপর দিকে ঘন জঙ্গল। মাঝখান দিয়ে পাকা রাস্তা থাকলেও তা শুনশান। দিনের বেলাতেই এলাকা ফাঁকা।  যোগাযোগ ব্যবস্থাও দুর্বল। আরামবাগ থেকে প্রায় পনের কুড়ি কিমি দূরে ঘন জঙ্গলে ঘেরা এই স্কুলের হাল ফেরাতে বদ্ধ পরিকর প্রধান শিক্ষক। আর তাই আগে মিডডে মিল নিয়েই তিনি সরব হয়ে ছাত্রছাত্রীদের পাশে দাঁড়ালেন ও কয়েকবার নিজে হাতেই পরিবেশন করলেন খাবার।

মিড ডে মিল নিয়ে হুগলিতে বেশ কয়েকটি ঘটনাও ঘটেছে, যে ঘটনা নিয়ে সরাসরি জেলাশাসক নিজেই পথে নেমে পদক্ষেপ নিয়েছেন। আর সেই পিছিয়ে পড়া এলাকার স্কুলেই সদ্য জয়েন করেই ছাত্রছাত্রীদের খুশি করতে ত্রাতা হিসেবে কাজ শুরু করে দিলেন প্রাক্তন স্কুল পরিদর্শক তথা বর্তমান প্রধান শিক্ষিক সৌম্যজিত মাইতি। খুশি এলাকার মানুষ জন।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad