অবলা পশুর জন্য সেচ্ছা মৃত্যুর আবেদন করলেন এক পশুপ্রেমী - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Tuesday, 21 January 2020

অবলা পশুর জন্য সেচ্ছা মৃত্যুর আবেদন করলেন এক পশুপ্রেমী





একেই বলে  পশুপ্রেমের পরিণতিতে  আত্মবলিদান। প্রকৃতির দান অবলা পশুকে  ভালবাসা এখানে অপরাধ। পরিণতিতে যুদ্ধে জয় হতে চলেছে সমষ্টিগত বাধার । কার্যত  পশুপ্রেমিক রমণীকে পর্যুদস্ত করেছে সেই সমষ্টিগত বাধা। উপায়ান্তর না দেখে জেলাশাসকের কাছে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন উত্তর চব্বিশ পরগনার বারাসতের পশুপ্রেমী রমণী ইন্দ্রানী ভৌমিকের ।

 মানবিক হতে চেয়ে অত্যাচারিতা হয়ে স্বেচ্ছামৃত্যু চাওয়া।  এ এক করুণ আলেখ্য, যেখানে মানবিকতাকে পরাজিত করে যেন সামনে এসে দাঁড়িয়ে আছে নির্মম অমানবিকতা, যার ফলশ্রুতি অসহায় এক মহিলার  স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন । এই আলেখ্য তুলে ধরেছে মানবিকতা আর অমানবিকতার দ্বন্দ ও টানাপোড়েন যেখানে অশুভ শক্তির কাছে আপাত নতি স্বীকার করেছে মানবিকতা। কুকুরকে সন্তান স্নেহে পালন করার মাশুল হিসেবে বেছে নিতে হচ্ছে স্বেচ্ছামৃত্যুর পথ। ঘটনার পটভূমি বারাসতের ন পাড়া পোদ্দার গলি ।অভিযোগ ,  কর্মস্থলে থাকা দাদার অনুপস্থিতির কারণে পশু প্রীতি তথা কুকুর কে  লালন-পালন করার জন্য  অসহায় মহিলার ওপরে চলছে অত্যাচার। প্রতিবেশীদের মানসিক ও কার্যত শারীরিক অত্যাচারের সামনে পড়ে চূড়ান্ত ভাবে ভেঙে পড়ে আত্মহননের পথ বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বছর ৪৫-য়ের ইন্দ্রানী ভৌমিক। জেলা শাসকের কাছে মঙ্গলবারই তিনি স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন জানিয়েছেন।

ইন্দ্রানী ভৌমিকের  বক্তব্য ও অভিযোগ তিনি বারোটি কুকুরকে তিনি অপত্য স্নেহে নিজ গৃহে প্রতিপালন করেন । কুকুর মাঝেমধ্যেই চিৎকার করে। আর সেই অছিলা দেখিয়ে প্রতিবেশী শ্রীদাম দে ও কিছু প্রতিবেশী তাকে মানসিক অত্যাচার করছেন । তাদের দাবী কুকুরদের তাড়াতে হবে । নাহলে তাকে ভিটেমাটি থেকে উৎখাত করা হবে ।  কুকুরদের না তাড়াতে চাওয়ায় তাকে উৎখাতের যে চেষ্টা চলছে তার বিরুদ্ধে তিনি অসহায় । পুলিশকে জানিয়েও ফল মেলে নি । স্থানীয় বাম কাউন্সিলর রত্না ভট্টাচার্য্য ও প্রতিবেশীদের সুরে সুর মিলিয়ে  তাকে চাপ দিচ্ছেন বলে তার অভিযোগ। প্রতিবেশী শ্রীদাম দে বিভিন্ন ভাবে নিপীড়ন বাড়িয়ে চলেছে বলে অভিযোগ। অভিযোগ ,  কুকুরের শব্দ শুনলেই ইন্দ্রানী দেবীকে জল ছুড়ে দিচ্ছেন আর সঙ্গে রয়েছে অশ্রাব্য গালিগালাজ । সবমিলিয়ে নিপীড়ন এমন জায়গায় যে আত্মহনন ছাড়া পথ নেই মনে করে জেলাশাসকের দপ্তরে আত্মহত্যার অধিকার চেয়েছেন ইন্দ্রানী ভৌমিক । তাঁর পাশে কিছু পশুপ্রেমী মানুষ ও পৌরসভার প্রধান ও উপপ্রধান । বারাসত পৌরসভার উপপ্রধান অশনি মুখোপাধ্যায় দ্বার্থহীন ভাষায় ঘটনাটির নিন্দা করে মানুষকে মানবিক হতে হবে জানিয়েছেন । পশুপ্রেমী সংস্থার পক্ষে অর্পিতা চৌধুরী জানিয়ে রেখেছেন, ইন্দ্রানী ভৌমিক কোনরকম সুরাহার পথ না দেখলে তারা পথে নামবেন । কিন্তু পথ দেখছেন না পশুপ্রেমী ইন্দ্রানী ভৌমিক । তিনি নিশ্চিত নন প্রোমোটিং নাকি অন্য কি কারণে তাঁর ওপরে এই নিপীড়ন । কিন্তু সহ্যসীমা ছাড়িয়ে যাওয়ার ও অত্যাচার বল্গাহীন হওয়ায় অবিলম্বে সুরাহা না হলে তার সামনে আত্মহত্যা ছাড়া কোনও বিকল্প পথ খোলা নেই ।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad