বর্ষবরণের রাতে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় কোন প্রত্যক্ষদর্শী নেই। সে কারণে বাধ্য হয়ে ফরেনসিক দলের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে তদন্তকারীদের। আজ বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা।
এরপর একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে এসেছে পুলিশের। প্রাথমিকভাবে বিশেষজ্ঞদের ধারণা, মদ্যপ অবস্থায় কিছু বুঝতে না পেরেই দুর্ঘটনাবশত পড়ে মারা গেছেন ওই নারী। তবে তাকে কেউ জোর করে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বর্ষবরণে সারাদিন একসঙ্গেই ছিলেন যাদবপুরের কুন্তল আচার্য এবং তার স্ত্রী সুইটি সূত্রধর। মদ্যপানও করেছিলেন দু’জনে। তারপর সন্ধ্যায় ওই দম্পতি নিজেদের ফ্ল্যাটের ছাদে দাঁড়িয়েছিলেন। ওই সময় পাশের ফ্ল্যাটে পার্টি চলছিল।
ওই দম্পতিকেও পার্টিতে যোগ দিতে বলা হয়। সে কারণে দু’জনে বর্ষবরণের রাতে ওই পার্টিতে যোগ দেন। সেখানেও মদ্যপান করেন কুন্তল এবং সুইটি। রাত ১২টার পর কুন্তল অসুস্থ হয়ে পড়েন। স্ত্রীকে রেখে নিজের ঘরে চলে যান স্বামী।
পরেরদিন সকালে ঘুম ভাঙার পর দেখেন স্ত্রী সুইটি ঘরে নেই। আরও দেখেন, দুই ফ্ল্যাটের মাঝের সরু জায়গায় পড়ে আছে সুইটির দেহ। খবর পেয়ে যাদবপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। সুইটির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। কুন্তলকে আটক করে শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ।
বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা। সরেজমিনে খতিয়ে দেখার পর বিশেষজ্ঞরা ওই ছাদের প্রাচীরের ওপর নখের আঁচড় দেখতে পান। তাই ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ছাদের প্রাচীর টপকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে সুইটির।
তবে তাকে কেউ ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। কুন্তল কেন নিজের মদ্যপ স্ত্রীকে ছাদে রেখে ঘরে চলে গেলেন, সেই প্রশ্নও উঠছে। নিহতের স্বামী কুন্তলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সে সম্পর্কে তথ্য পাওয়ার চেষ্টা করছে পুলিশ।
সূত্র: কালের কণ্ঠ
No comments:
Post a Comment