ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার বর্ধমান জেলার প্রাক্তন সভাপতি শ্যামল রায়ের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় বর্ধমান শহর জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
বিজেপির অভিযোগ, সোমবার সকালে শ্যামল রায়ের নেতৃত্বে কয়েকজন বিজেপি সমর্থক বর্ধমানের কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে যান। জেলখানায় থাকা কয়েকজন কর্মীর সঙ্গে দেখা করতে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি খণ্ডঘোষে বিজেপির একটি সভায় যাওয়ার পথে বিজেপি নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, তাদের কর্মী এবং নেতাদের ওপর হামলা চালানোর সময় সেখানে হাজির ছিল পুলিশও। এমনকি এই ঘটনায় ৬জন বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতারও করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে বোমা, লাঠি নিয়ে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে।
বর্তমানে ওই বিজেপি কর্মীরা বর্ধমান কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে রয়েছেন। সোমবার সকালে সেই বন্দি বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে জেলখানায় যান যুব মোর্চার প্রাক্তন জেলা সভাপতি শ্যামল রায়ের নেতৃত্বে কয়েকজন বিজেপি কর্মী। অভিযোগ, এই সময় অতর্কিতে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। এই ঘটনায় আহত শ্যামল রায়কে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভরতি করা হয়।
আহত বিজেপি যুব মোর্চার নেতা শ্যামল রায় জানিয়েছেন, এদিন পরিকল্পিতভাবে তাঁর ওপর হামলা চালানো হয়, এমনকি তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলারও চেষ্টা করা হয় বলেও অভিযোগ। তিনি আরও অভিযোগ করেছেন, জেলখানা মোড় এলাকার স্থানীয় তৃণমূল নেতা আব্দুর রবের নেতৃত্বে এই হামলা চালানো হয়। এদিকে, শ্যামল রায়ের ওপর হামলার ঘটনায় বিজেপি সমর্থকরা বর্ধমান থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায়। গেরুয়া বাহিনী এদিন শহরের বিসিরোড কিছুক্ষণের জন্য অবরোধও করে। যদিও এ ব্যাপারে তৃণমূল নেতা আব্দুর রব তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
তিনি জানিয়েছেন, এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। তিনি পাল্টা আরও দাবি করেছেন, বেশ কিছুদিন ধরেই বিজেপির শ্যামল রায়ের সঙ্গে সদ্য সিপিএম থেকে আসা বিশ্বজিত সেনের একটি বিবাদ চলছে। সম্প্রতি এই বিবাদে গুলিও চলে। এদিনের ঘটনা তারই জের বলে তিনি দাবি করেছেন।
সূত্র: দি বাংলাদেশ টুডে
No comments:
Post a Comment