অপহরণকারীকে হত্যা করে ২৩ জন জিম্মি শিশু উদ্ধার পুলিশের - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Friday, 31 January 2020

অপহরণকারীকে হত্যা করে ২৩ জন জিম্মি শিশু উদ্ধার পুলিশের




উত্তর প্রদেশে ২৩ শিশুকে জিম্মি রাখা এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করেছে  পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে সব শিশুকে। প্রায় ১০ ঘণ্টা চলে এই জিম্মিদশা। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে বলা জয়, সুভাষ বাথাম নামে ওই ব্যক্তি খুনের মামলায় অভিযুক্ত। সেসময় জামিনে মুক্ত ছিলেন। তার স্ত্রী, এক বছর বয়সী মেয়ে ও ২৩ জন শিশুকে জিম্মি রেখেছিলেন তিনি। পুলিশ তার সঙ্গে আলোচনারও চেষ্টা করে। এক বছর বয়সী এক শিশুকে মুক্তি দিলেও আলোচনা খুব বেশি ফলপ্রসূ হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, নিজের বাচ্চার জন্মদিনের কথা বলে সেদিন কয়েকজন শিশুকে বাড়িতে আমন্ত্রণ জানায় সুভাষ। যখন সবাই বাসায় ঢুকে যায় নিজের স্ত্রী ও সন্তান সহ সবাইকেই জিম্মি করে ‍সুভাষ। শিশুরা ফিরে না আসায় প্রতিবেশীরা তার দরজায় কড়া নাড়ে। তখন সবাইকেই তাড়িয়ে দেয় সুভাষ। প্রতিবেশীরাই পুলিশে খবর দেয়।

পুলিশ আসলে তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালাতে থাকে সুভাষ বাথাম।  তারা জানায়, পুলিশের গাড়ি আসতে দেখেই ছাদ থেকে গুলি ছুড়তে শুরু করে সুভাষ। এমনকি একটি বোমাও নিক্ষেপ করে সে। 

এরপর সন্ত্রাসবিরোধী  কমান্ডোর একটি দল এবং কানপুরের পুলিশ মহাপরিদর্শকের নেতৃত্বে একটি দল অভিযান চালায়। উত্তর প্রদেশের পুলিশ মহাপরিচাক ওপি সিং বলেন, তারা জানার চেষ্টা করছিলেন যে জিম্মিরা সুস্থ আছে কি না। তিনি বলেন, পুলিশ সুভাষের সঙ্গে ফোনে আলোচনার চেষ্টা করেন। তার কি দাবি জানার চেষ্টা করা হয়।

সুভাষের কাছে কি ধরনের অস্ত্র ও বোমা আছে তা নিশ্চিত হয়েই পুলিশ পরিকল্পনা করে। অভিযান শুরুর কিছুক্ষণ পরই সুভাষ গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়।

পুলিশের দাবি, মানসিক সমস্যা ছিল সুভাষের। জিম্মি করে সে চিৎকার করছিলো যে সে খুণ করেনি। সে নির্দোষ।

এই পরিস্থিতিতে জরুরি বৈঠক ডেকেছেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।








সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad