মন্ত্রীর গোশালায় কেবল বেড়েছে গরু বাছুড়, সম্পত্তি কিছুই নয় - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Thursday, 2 January 2020

মন্ত্রীর গোশালায় কেবল বেড়েছে গরু বাছুড়, সম্পত্তি কিছুই নয়





গরু-বাছুরে তার গোয়াল ভরে উঠেছে। অন্য সম্পত্তি বাড়েনি একটুও। গত এক বছরের সম্পত্তির হিসাব প্রকাশ করে এমনটাই দাবি করলেন বিহার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার।

২০১০ সাল থেকে প্রতি বছর রাজ্যের মন্ত্রীদের সম্পত্তির হিসাব নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে আসছে বিহার সরকার। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ বছরের হিসাব প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে দেখা যায়, সম্পত্তি ও টাকা-পয়সার নিরিখে রাজ্যের বহু মন্ত্রীই নীতীশ কুমারের চেয়ে এগিয়ে আছেন।

ওই হিসাব অনুযায়ী, টাকা-পয়সা মোটেও বাড়েনি নীতিশ কুমারের। বরং গত বছর যেখানে তার হাতে নগদ ৪২ হাজার টাকা ছিল, এ বছর তা ৩৮ হাজারে এসে ঠেকেছে। বেড়েছে শুধু তার গোয়ালের গরুর সংখ্যা। গত বছর ৮টি গরু ও ৬টি বাছুর ছিল, এ বছর তা বেড়ে ১০টি গরু এবং ৭টি বাছুর হয়েছে।

নীতিশের মোট অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ১৬ লাখ টাকা। আর তার মোট স্থাবর সম্পত্তি রয়েছে ৪০ লাখ টাকার, যার মধ্যে রয়েছে দিল্লির দ্বারকায় একটি ফ্ল্যাটও।

সেই তুলনায় নিশান্ত বাবার চেয়ে অনেক এগিয়ে রয়েছেন। পেশায় স্কুল শিক্ষিকা মায়ের মৃত্যুর পর, তার সমস্ত সম্পত্তি পেলেও এখনও বাবার ওপরই নির্ভরশীল নিশান্ত। অথচ তার মোট অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ এক কোটি ৩৯ লাখ টাকা। আর মোট স্থাবর সম্পত্তি রয়েছে এক লাখ ৪৮ হাজার টাকার।

বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা সুশীল কুমার মোদিও এগিয়ে রয়েছেন নীতিশের থেকে। তার মোট সম্পত্তির পরিমাণ এক কোটি ২৬ লাখ টাকা। পেশায় শিক্ষক স্ত্রী জেসি জর্জের নামে এক কোটি ৬৫ লাখ টাকার সম্পত্তি রয়েছে। ব্যাঙ্কে মোট ৮১ লাখ ৫৪ হাজার টাকা রয়েছে সুশীল মোদির। তার স্ত্রীর নামে রয়েছে ৯৭ লাখ ১৮ হাজার টাকা।

বিহারের মন্ত্রীদের মধ্যে সবচেয়ে ধনী হিসেবে নাম উঠে এসেছে সুরেশ শর্মার। তিনি ৯ কোটি টাকার সম্পত্তি দেখিয়েছেন। এমনকি গত বছর নীতিশের মন্ত্রীসভায় জায়গা পেয়েছেন যে সঞ্জয় ঝা, স্ত্রীর সঙ্গে যৌথভাবে ২২ কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে তার। দিল্লির দু’টি শপিংমলে দোকানও রয়েছে তার।

নীতিশের মন্ত্রীসভায় সবচেয়ে দরিদ্র মন্ত্রী হিসেবে নীরজ কুমারের নাম উঠে এসেছে। মোট ৩৫ লাখ ৮৭ হাজার টাকার সম্পত্তি রয়েছে তার, যার মধ্যে বাজারে দেনা রয়েছে ২৭ লাখ টাকার।






সূত্র: কালের কণ্ঠ

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad