এনডিটিভি জানায়, ৯টি কর্মী সংগঠনের জোট ইউনাইটেড ফোরাম অব ব্যাংক ইউনিয়নস (ইউএফবিইউ)এর প্রতিনিধিরা ৩১ জানুয়ারি এবং ১ ফেব্রুয়ারি বনধ এর ডাক দিয়েছেন।
সমস্ত রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কের বেতন কাঠামো পুনর্বিন্যাস-সহ একাধিক দাবিতে ইন্ডিয়ান ব্যাংক অ্যাসোসিয়েশন (আইবিএ) এর সঙ্গে আলোচনায় কোন সুরাহা না হওয়ায় টানা দুইদিন ব্যাংক বনধের সিদ্ধান্ত নেন ব্যাংককর্মীরা।
সেইমতো শুক্রবার থেকেই বন্ধ রয়েছে ব্যাংকের কাজকর্ম। তিনদিন কাজ বন্ধ থাকলে এটিএম গুলোতেও টাকার অভাব দেখা দেওয়ার আশঙ্কায় ভুগছেন মানুষজন। যদিও আইসিআইসিআই ব্যাংক এবং এইচডিএফসি ব্যাংকের মতো বেসরকারি ব্যাংকগুলোর পরিষেবা চালু রয়েছে। তারপরও বনধের কারণে কিছুটা হলেও স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হবে বলে জানিয়েছে অনেক ব্যাংকই।
অল ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্ক অফিসার্স কনফেডারেশন (এআইবিওসি) -এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, “মার্চ মাসের তিনদিন ১১, ১২ ও ১৩ মার্চও অবস্থান বিক্ষোভ করবে ব্যাঙ্ক কর্মীরা ৷ দাবি মানা না হলে ১ এপ্রিল থেকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য ধর্মঘট হবে।” ইউনাইটেড ফোরাম অব ব্যাঙ্ক ইউনিয়নস তাদের প্রকাশিত একটি বিজ্ঞপ্তিতে ১২ দফা দাবি উল্লেখ করেছে।
কমপক্ষে ১৫ শতাংশ মজুরি বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছে ব্যাংক ইউনিয়নগুলো। ১২.২৫ শতাংশ পর্যন্ত মজুরি বৃদ্ধিতে রাজি হয়েছে ইন্ডিয়ান ব্যাংক অ্যাসোসিয়েশন। তবে তা মানতে নারাজ কর্মী-অফিসারদের সংগঠনগুলো। দাবি আদায় না হলে লাগাতার ধর্মঘট শুরুর হুমকি দিয়েছে ইউএফবিইউ।
তাদের দাবিদাওয়ার মধ্যে সপ্তাহে ৫দিন কাজ, মূল বেতনের সঙ্গে বিশেষ ভাতা জুড়ে দেওয়া এবং নয়া পেনশন স্কিম বাতিলের দাবিও রয়েছে। এসব দাবি নিয়ে দু’পক্ষই নিজেদের অবস্থানে অটল থাকায় সমস্যা মিটছে না, যার ফল ভুগতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
সূত্র: বিডি নিউজ 24
No comments:
Post a Comment