দেশব্যাপী বিরোধিতা থাকলেও উত্তর প্রদেশ, বিহার সহ বিভিন্ন রাজ্যে অবিলম্বে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) ও জাতীয় নাগরিক নিবন্ধন (এনআরসি) কার্যকর করার কথা বলছে বিজেপি সরকার।
গতকাল রবিবার থেকে উত্তর প্রদেশে সিএএ কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। বিহারের বিজেপি দলীয় উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদি গতকাল জানিয়ে দিয়েছেন, ১৫ জানুয়ারি থেকে তাঁর রাজ্যে জাতীয় জনসংখ্যা নিবন্ধন বা এনপিআর কার্যক্রম শুরু হবে।
এদিকে বঙ্গে বিজেপির নেতারা গতকাল থেকে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে সিএএ ও এনআরসির পক্ষে প্রচার শুরু করেছেন। কলকাতায় এই প্রচার অভিযান শুরু করেন বিজেপির জাতীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা। তিনি প্রচার শুরু করেন উত্তর কলকাতার নিমতলা থেকে। রাজ্যব্যাপী ভিন্ন জেলা, থানা ও পঞ্চায়েত অঞ্চলে এই প্রচার চলবে। এর পক্ষে বিভিন্ন প্রচারপত্র ও পুস্তিকা বিতরণ করা হচ্ছে। এই প্রচারে অংশ নিয়েছেন রাজ্য বিজেপির ৩০ হাজার কর্মী।
বিজেপির নেতারা বলছেন, তৃণমূলের কথায় বিভ্রান্ত হবেন না। ওদের গুজবেও সায় দেবেন না। বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে আসা উদ্বাস্তু ও শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দিতে এই আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। সুতরাং এই আইনে কোন মুসলিম ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না। তৃণমূলের এ নিয়ে বিভ্রান্তিমূলক প্রচার বিশ্বাস করবেন না।
বিজেপির এই প্রচারণার বিপরীতে তৃণমূলও এনআরসি বিরোধী প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। গতকাল বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল রামপুরহাটে এক দলীয় সমাবেশে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, অনলাইনে কেউ ফর্ম পূরণ করতে গেলে, সব সাইবার ক্যাফের কম্পিউটার ভেঙে দেওয়া হবে। এই রাজ্যে সিএএ ও এনআরসি কার্যকর করতে দেওয়া হবে না। অনলাইনে ফর্ম পূরণও করতে দেওয়া হবে না।
সিএএ ও এনআরসি নিয়ে কঠোর আন্দোলনের কারণে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অনলাইনে ফর্ম পূরণের পরিকল্পনা করছে। এই খবর প্রকাশের পর অনুব্রত মণ্ডল এই হুমকি দেন। তিনি বলেন, ‘যেসব সাইবার ক্যাফেতে ফর্ম পূরণ করা হবে, আমরা সেই সব সাইবার ক্যাফের কম্পিউটার ভেঙে দেব। যিনি করবেন, তাঁর মাথা কামিয়ে দেব।’
সূত্র: প্রথম আলো
No comments:
Post a Comment