নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ও জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) বলবৎ করার কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পথে নেমেছে পূর্ব, পশ্চিম, উত্তর ও দক্ষিণ ভারত। এই পরিস্থিতিতে শনিবার উত্তর প্রদেশে পুলিশের হাতে আক্রান্তদের বাড়ি গিয়ে তাদের সঙ্গে দেখা করলেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। এ সময় তিনি বলেছেন, উত্তর প্রদেশে পুলিশের নেতৃত্বে সন্ত্রাসের রাজত্ব চলছে।
প্রিয়াঙ্কা গান্ধী মুজাফফরনগরের বেশ কয়েকটি জায়গায় যান। বাড়ি বাড়ি গিয়ে দেখা করেন আক্রান্তদের সঙ্গে।
শনিবার সকালে প্রথমে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী দেখা করেন মৌলানা আজাদ হুসেইনির সঙ্গে, যিনি মীনাক্ষ্মী চকে একটি মাদ্রাসা চালান। মীনাক্ষ্মী চক সিএএ বিরোধী বিক্ষোভে পুলিশি তাণ্ডবের জেরে অশান্ত হয়ে উঠেছিল।
হুসেনি ও বিক্ষোভে আক্রান্তদের সঙ্গে দেখা করার পর প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বলেন, উত্তরপ্রদেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব চলছে। বিনা দোষে মারধর করা হয়েছে মানুষকে।
তিনি বলেন, বাইরে এই অশান্তি চলাকালীন মাদ্রাসার ভিতরে ঢুকে মৌলানা আজাদ হুসেইনিকে বেধড়ক মারধর করে পুলিশ। শুধু তাই নয়, মাদ্রাসার ভেতরে থাকা ছাত্রদের ওপরও অত্যাচার করে পুলিশ৷ জেলে বন্দি করে রাখা হয়েছে মাদ্রাসার শিক্ষকদের। বাদ যায়নি নাবলকেরাও।
বিক্ষোভে মৃত্যু হওয়া নুর মোহাম্মদের বাড়িতে যান প্রিয়াঙ্কা। তার সাতমাসের গর্ভবতী স্ত্রীর ও দেড় বছরের মেয়ের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি। এদিকে রুকাইয়া নামে আরেক তরুণীর বাড়িতে যান তিনি। সেদিনের প্রতিবাদে একইভাবে সামিল ছিলেন রুকাইয়াও৷ জানা যায়, শনিবারই বিয়ে হওয়ার কথা ছিল তার। কিন্তু পুলিশ তার বাড়িতে এসে ভাঙচুর চালায়। বিয়ের প্রস্তুতির সব সামগ্রী তছনছ করে দেয় পুলিশ। প্রিয়াঙ্কার কাছে তাঁরা অভিযোগ করেন। আক্রান্তদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার পর প্রিয়াঙ্কা গান্ধী তাদের পাশে থাকার সবরকম আশ্বাস দেন।
সূত্র: কালের কণ্ঠ
No comments:
Post a Comment