বিজেপি শিশুদের হাতে বন্ধুকে তুলে দিচ্ছে, মনে ঘৃণা ঢুকিয়ে দিচ্ছে : কেজরিওয়াল - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Friday, 31 January 2020

বিজেপি শিশুদের হাতে বন্ধুকে তুলে দিচ্ছে, মনে ঘৃণা ঢুকিয়ে দিচ্ছে : কেজরিওয়াল






দিল্লির বিধানসভা নির্বাচন সামনে রেখে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) দিকে তোপ দেগেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। কেজরিওয়াল বলেছেন, ‘আমরা শিশুদের হাতে কলম তুলে দিচ্ছি, আর বিজেপি দিচ্ছে বন্দুক।’

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ শুক্রবার হিন্দিতে করা এক ট্যুইটে এ কথা বলেন কেজরিওয়াল। গতকাল বৃহস্পতিবার দিল্লির জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে এক স্কুলশিক্ষার্থীর গুলি করার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এ কথা বলেছেন তিনি।

৮ ফেব্রুয়ারি দিল্লির বিধানসভা নির্বাচন। নির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি (এএপি) ও বিজেপির মধ্যে। নির্বাচনের আগে জনগণকে সতর্ক করে দিয়ে ট্যুইটে কেজরিওয়াল বলেছেন, ‘আমরা শিশুদের হাতে কলম তুলে দিয়েছি, কম্পিউটার দিয়েছি। তাদের চোখে উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন বুনে দিয়েছি। আর তারা (বিজেপি) শিশুদের হাতে বন্দুক তুলে দিচ্ছে, মনে ঘৃণা ঢুকিয়ে দিচ্ছে। আপনারা আপনাদের সন্তানদের হাতে কোনটি দেখতে চান? ৮ ফেব্রুয়ারিই এর উত্তর মিলবে।’

গতকাল উত্তর প্রদেশের ১৭ বছর বয়সী এক কিশোর জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে সিএএ–বিরোধীদের দিকে বন্দুক তাক করে গুলি ছোড়ে। উত্তর প্রদেশের ক্ষমতায় আছে বিজেপি। এ কারণেই বিজেপির উদ্দেশ্যে তোপ দেগেছেন কেজরিওয়াল।

স্কুলে যাওয়ার কথা বলে গতকাল বাড়ী থেকে বের হয় ওই কিশোর। কিন্তু স্কুলে না গিয়ে বাসে চড়ে দিল্লি চলে আসে সে। বিকেলে জামিয়া মিলিয়ার সামনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মিছিলে উপস্থিত হয়ে পুলিশের সামনেই বন্দুক বের করে সে। এরপর আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে গুলি ছোঁড়ে। এ সময় সে আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে বলে, ‘এই নে তোদের স্বাধীনতা।’ এ সময় তাকে শান্ত করতে গেলে জামিয়া মিলিয়ার এক শিক্ষার্থী বন্দুকের গুলিতে আহত হন। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ওই কিশোরের গায়ে কালো বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ছিল। অস্ত্র উঁচিয়ে সে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের দিকে এগিয়ে যায়। ওই কিশোরের অদূরেই পুলিশ সদস্যরা দাঁড়িয়ে আছেন।

আম আদমি পার্টির অভিযোগ, বিজেপির প্রশ্রয়েই ওই কিশোর পুলিশের সামনে গুলি করার দুঃসাহস দেখিয়েছে। বিজেপি তাকে নিরাপত্তা দিয়েছে বলেই বন্দুক বহন করা সত্ত্বেও পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেনি।

দেশ জুড়েই সিএএ–বিরোধী আন্দোলন চলছে। জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আন্দোলনে নেমেছেন শিক্ষার্থীরা। চলতি মাসের শুরুর দিকে নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর সরকার সমর্থকদের হামলার ঘটনাও ঘটে।








সূত্র: প্রথম আলো



No comments:

Post a Comment

Post Top Ad