পিরিয়ডের সময় তলপেটের ব্যথায় ভোগেন নি এমন নারী খুব কমই আছে। অনেকেই অতিরিক্ত ব্যথার কারণে এসময় ব্যথানাশক ঔষধ খেয়ে থাকেন। কিন্তু সবসময় ব্যথার ঔষধ গ্রহণ করা নিরাপদ নয়। ব্যথানাশক ঔষধ গ্রহনে যা যা সমস্যা হতে পারে-
১. ব্যথানাশক ঔষধ আপনার পিরিয়ডের রক্ত প্রবাহ কমিয়ে দিতে পারে, তা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
২. অতিরিক্ত ব্যথানাশক ঔষধ সেবন করলে বিপর্যয় ঘটতে পারে। তাই পিরিয়ডের ব্যথা থেকে মুক্ত হতে যখন তখন ব্যথানাশক ঔষধ সেবন করবেন না।
৩. ব্যথানাশক ঔষধ দীর্ঘদিন যাবৎ সেবন করলে তা স্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকর। অতিরিক্ত পেইন কিলার সেবন করলে কিডনি, যকৃত এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।
ব্যথানাশক ঔষধ ব্যবহার করা ছাড়াও পিরিয়ডের ব্যথাকে কমানোর অন্য উপায় ও আছে যেমন- মেডিটেশন বা ইয়োগা চর্চার মাধ্যমেও আপনি পিরিয়ডের ব্যথাকে কমিয়ে রাখতে পারেন। এছাড়া লো ফ্যাটের ডায়েট অনুসরণ করুন, হট ওয়াটার ব্যাগ তলপেটে চেপে ধরে রাখুন, এসেনশিয়াল অয়েল লাগিয়ে ম্যাসাজ করুন।
সঠিভাবে ব্যথার কারণ শনাক্ত না করে ব্যথানাশক ঔষধ সেবন করলে এন্ড্রোমেট্রায়োসিস হতে পারে। নারীর শ্রোণি অঞ্চলে সিস্ট হলে তাকে এন্ড্রোমেট্রায়োসিস বলে, একে চকলেট সিস্ট ও বলে। গাঁঢ় বাদামী এই সিস্টগুলো হয়ে থাকে ডিম্বাশয়ে, ফেলোপিয়ান টিউবে এবং শ্রোণিঅঞ্চলের পাশের দেওয়ালে।
এন্ড্রোমেট্রায়োসিস আছে, এমন নারীদের ৪০ শতাংশের মধ্যেই গর্ভধারণে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। কিন্তু এর তেমন কোন লক্ষণ প্রকাশ পায় না। উর্বরতার চিকিৎসা করাতে গেলেই তা শনাক্ত হয়।
যদি ব্যথা কিছুতেই না কমে, তাহলে ব্যথানাশক ঔষধ সেবনের পরিবর্তে একজন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শে ঔষধ সেবন করুন।
সূত্র: পরিবর্তন

No comments:
Post a Comment