মাংসপেশির ক্ষয় এড়াতে পাঁচটি বিষয় মেনে চলুন---
হালকা ভারোত্তোলন করুন : মাংসপেশিকে উজ্জীবিত অথবা পুনরুদ্ধার করার চাবিকাঠি হচ্ছে রেজিস্ট্যান্স ট্রেইনিং বা ভারোত্তোলন সংক্রান্ত এক্সারসাইজ। অ্যাবটের রেজিস্টার্ড ডায়েটিশিয়ান টিফানি ডিউইক বলেন, এক্সারসাইজ সম্পর্কে জানতে চেয়ে আমরা একটি জরিপ চালিয়েছিলাম। অধিকাংশ মানুষ জানান যে, তারা কার্ডিওভাসকুলার এক্সারসাইজ করেন। মাত্র এক-চতুর্থাংশ লোকজন ভারোত্তোলন করেন।
প্রোটিনের পরিমাণ বাড়ান : অ্যাবট-এএআরপি জরিপে ৬২ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক লোক মনে করতেন যে তারা পর্যাপ্ত প্রোটিন খাচ্ছেন। কেউ কেউ জানিয়েছেন যে, তারা পেশি ক্ষয়ের ঝুঁকি কমাতে উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরিমাণ বাড়িয়েছেন। মজার বিষয় হচ্ছে, এ জরিপের মাত্র ১৭ শতাংশ লোক জানতেন তাদের কতটুকু প্রোটিন প্রয়োজন।
প্রতিবেলায় সমান পরিমাণে প্রোটিন খান : প্রতিদিন যতটুকু প্রোটিন দরকার তা একবেলাতে সবটুকু না খেয়ে তিন বেলাতে বণ্টন করে ভারসাম্য আনুন। এতে মাংসপেশির আরও বেশি উপকার হতে পারে। ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাসের একটি গবেষণায় পাওয়া গেছে, যেসব লোক তিনবেলার (ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ ও ডিনার) প্রতিবেলাতে সমান পরিমাণে বা ৩০ গ্রাম করে প্রোটিন খেয়েছিলেন, তাদের মাসল প্রোটিন সিন্থেসিস ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল। মাসল প্রোটিন সিন্থেসিস হচ্ছে একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া, যেখানে মাংসপেশির ড্যামেজ মেরামত করতে প্রোটিন উৎপন্ন হয়। এ গবেষণার অন্য গ্রুপের লোকেরা ব্রেকফাস্টে ১১ গ্রাম, লাঞ্চে ১৬ গ্রাম ও ডিনারে ৬৩ গ্রাম প্রোটিন গ্রহণ করেছিলেন।
খাদ্যতালিকায় ডালিম রাখুন : প্রতিদিন একটি করে ডালিম খেলে মাংসপেশির ক্ষয় প্রতিরোধ হবে। সাম্প্রতিক গবেষণা ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, এটা সত্য হতে পারে। যদিও অন্য প্রাণীর ওপর চালানো গবেষণায় ডালিমের এ ধরনের উপকারিতা পাওয়া গেছে, কিন্তু নেচার মেডিসিনে প্রকাশিত একটি গবেষণা সাজেস্ট করছে যে, এ সুপার ফ্রুট মানুষের মাংসপেশির সুস্বাস্থ্যেও অবদান রাখতে পারে।
সূর্যালোকের সংস্পর্শে আসুন : আপনার শরীর ও আত্মা উভয়ের জন্য সূর্যের আলো ভালো। গবেষণায় পাওয়া গেছে, সূর্যালোকে থাকলে শরীরে ভিটামিন ডি তৈরি হয়, যা মাংসপেশির দুর্বলতা কাটাতে সহায়তা করে। বিপরীতভাবে, ভিটামিন ডি এর অভাবে মাংসপেশির ক্ষয় হয়ে থাকে।
সূত্র: দৈনিক পূর্বকোণ
No comments:
Post a Comment