রাত রঙিন করার জন্য এই রাজা সঙ্গিনী কিভাবে বাছাই করতেন জানুন - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Friday, 31 January 2020

রাত রঙিন করার জন্য এই রাজা সঙ্গিনী কিভাবে বাছাই করতেন জানুন




ইতিহাসে আজও কুখ্যাত হয়ে আছেন রাজস্থানের রাজা কিষণ সিংহ। রাজস্থান মানেই বীর রাজপুতদের জায়গা। মহারানা প্রতাপ সিংহ থেকে সংগ্রাম সিংহ, একের পরে এক বীরের জন্মের জায়গা হিসেবে আজও রাজস্থানের নাম গর্ব ভরে নেওয়া হয়।

কিন্তু রাজা কিষণ সিংহ যেভাবে নারীসঙ্গ উপভোগের জন্য এইসব করতেন, তার জন্য আজও তাকে ধিক্কার দেন রাজস্থানবাসী। ১৮৮৯ সালে জন্ম রাজা কিষণ সিংহের। দেওয়ান জারামানি দাসের লেখা বই থেকে রাজা কিষণ সিংহের নারীসঙ্গের বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়।

জানা যায়, রাতের অন্ধকারে সুইমিং পুলে নগ্ন হয়ে স্ত্রীদের সঙ্গে স্নান করতে নামতেন কিষণ সিংহ। এটা ছিল তার প্যাশন। রাজা কিষণ সিংহের রাজমহলে ৪০ জন রানী থাকতেন। রাজার স্নানের সময় এই রানীরাও নাকি নগ্ন হয়ে পুলে নেমে পড়তেন।

বিলাসবহুল এই জীবনকে আরও রঙিন করতে রাজমহলের সামনে গোলাপি মার্বেলে সুইমিং পুল বানিয়েছিলেন কিষণ সিংহ। এমনকী, সেই সুইমিং পুলে যাওয়ার রাস্তা বাঁধানো হয়েছিল চন্দন কাঠে। সুইমিং পুলে নামার জন্য চন্দন কাঠের সিঁড়িও বানানো হয়েছিল। পুলের মধ্যে ২০টি চন্দনকাঠের পাটাতন এমনভাবে রাখা হয়েছিল যে, এক একটি পাটাতলে ২জন করে রানী আরামসে দাঁড়াতে পারতেন।

রাজা কিষণ সিংহের নির্দেশে প্রত্যেক রানীকেই হাতে মোমবাতি নিয়ে পুলের সিঁড়ি থেকে একদম সিঁড়ির শেষ ধাপ পর্যন্ত দাঁড়াতে হতো। মোমবাতি হাতে রানীরা পুলে এসে হাজির হলে নিবিয়ে দেওয়া হত রাজপ্রাসাদের সমস্ত আলো। রানিরা পুলের সামনে এসে দাঁড়ানোর পরে রাজা পুলে আসতেন। সুইমিং পুলে নামার সময়ে এক এক করে রানীদের পুলে ছুঁড়ে দিতেন রাজা। কেবল একজন রানীকে বাহুডোরে নিয়ে নিতেন। রাজা পুলে নামলে নগ্ন অবস্থায় হাতে মোমবাতি নিয়ে নৃত্য পরিবেশন করতে হত রানীদের।

রানীদের উদ্দেশ্যে কিষণ সিংহের কঠোর নির্দেশ ছিল, মোমবাতি যেন না নেবে। নাচের শেষমুহূর্ত পর্যন্ত যে রানীর হাতের মোমবাতি জ্বলত, তাকে নিয়ে নিজের খাসমহলে যেতেন রাজা। এর মানে, ওই রানী সেই রাতে রাজার সঙ্গে রাত কাটানোর সুযোগ পেতেন।







সূত্র: বাংলাদেশ সংবাদ

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad