ছোট সেফটিপিনের গুরুত্বপূর্ণ কাজ

দৈনন্দিন কাজে সেফটিপিন দারুণ এক উপকারী বস্তু! আর এর আরও নানান ব্যবহার জানতে এই আর্টিকেল টি পড়ুন

ড্রেসের চেইন লাগাতেঃ
ড্রেসের পিছনের চেইন আটকানো বেশ ঝামেলাকর একটি কাজ। এমন চেইনের মাথার দিকে একটি সেফটিপিন আটকে তার মধ্যে দিয়ে মোটা সুতা পার করে নিন। খেয়াল রাখবেন যেন সুতাটি ধরে সামনে থেকেই চেইন টানা যায়। এরপর এই সুতার সাহায্যে চেইন টেনে নিজেই নিজের জামার চেইন আটকাতে পারেন।

ব্যাগ সুরক্ষিত রাখুনঃ
ব্যাগ বা পার্স নিয়ে বাইরে বের হলেই টেনশনে আর ভুগতে হবে না। ব্যাকপ্যাক অথবা পার্স এর ভিতরে সেফটিপিন দিয়ে কাপড়ের অংশটির সাথে আটকে নিন। পকেটমার এতে করে সহজে আপনার ব্যাগের মূল্যবান সামগ্রী মেরে দিতে পারবে না।

পর্দা টেনে বন্ধ রাখুনঃ
পর্দার মাঝে ফাঁকা থাকলে আমার সহজে ঘুম আসতে চায় না। আপনাদেরও যদি এমন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়, তবে পর্দার মাঝের ফাঁক বন্ধ করুন সেফটিপিন ব্যবহার করে। তাহলে ঘরে দিনের বেলা রোদ কম আসবে, আবার রাতে বাইরের আলো জ্বালাতন করবে না।

পায়জামার ফিতা আবার ঢুকিয়ে নিনঃ
যারা ফিতা-দেওয়া পায়জামা পরেন, তারা নিশ্চয় মাঝেমধ্যেই এমন ঝামেলাতে পড়েছেন যেখানে পায়জামার ফিতা বের হয়ে যায়। এটি ঠিক করার উপায়? পুরো ফিতা বের করে নিয়ে সেটি সেফটিপিন দিয়ে পুনরায় আবার ঢুকিয়ে নিন। সহজ, তাই না?

 শীতে কাপড়ে স্থির বিদ্যুৎ উৎপাদন থামানঃ
সিল্ক, সার্টিন বা জর্জেট জাতীয় কাপড় শীতে পরলে স্থির বিদ্যুৎ উৎপাদনের কারণে কাপড় শরীরের সাথে এঁটে থাকে; যা বেশ বাজে দেখায়। এই সমস্যার সমাধান চান? কাপড়ের ভিতরের দিকে আটকে রাখুন একটি সেফটিপিন। তাহলে কাপড়ের মধ্যে আর স্থির বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে না।

বুকমার্ক হিসেবেঃ
সেফটিপিন দিয়ে বুক মার্ক করার কথা কখনও চিন্তা করেছেন?্যযদি উত্তরটি হয় না, তাহলে জেনে নিন।১০-১২টা সেফটিপিন একটার সাথে আর একটা সারি করে জোড়া লাগিয়ে দিন দেখবেন কত সহজে একটা সুন্দর বুকমার্ক তৈরি হয়ে গেল।

নিরাপত্তার জন্য
সেফটিপিন ভারি না এবং খুব বেশি জায়গাও লাগে না। সবসময় সাথে একটি সেফটিপিন রাখুন, যা বিপদে আপনার কাজে লাগবে। আপনি আক্রান্ত হলে সেফটিপিন দিয়ে আঁচড় বা খোঁচা দিয়ে আত্মরক্ষা করতে পারবেন। এজন্য বড় একটি সেফটিপিন সব সময় সাথে রাখুন।

ছোট ছোট জিনিস একত্রে রাখার জন্য
হাত মোজা, পা মোজা এগুলো প্রায়ই একটা পাওয়া গেলেও আরেকটা পাওয়া যায়না।তাই এগুলো সব সময় সেফটিপিন দিয়ে একসাথে জোড়া মিলিয়ে রাখুন। খুঁজে পেতে আর সমস্যা হবেনা।

এছাড়াও যখন ম্যানিকিউর করা সম্ভব হয়না, তখন সেফটিপিন দিয়েই আপনি আপনার নখ পরিষ্কার করে নিতে পারেন।ৎকাপড় শুকানোর কাজেও ব্যবহার করতে পারেন। আপনার পর্দা বা বালিশের কভারটি হয়তো পুরোপুরি সেলাই শেষ হয়নি, কিন্তু বাসায় অতিথি আসার সময় হয়ে গেছে। তখন সেফটিপিন দিয়ে জোড়া লাগিয়ে দিন, কেউ বুঝতেই পারবেনা। সেফটিপিন দিয়ে গহনা জোড়া লাগাতে বা বানিয়ে নিতে পারেন।এরকম আরও অনেক রকম কাজে ব্যবহার করা যায় ছোট্ট সেফটিপিন।







সূত্র: সবজানি