দুর্ধর্ষ অভিযাত্র বিয়ার গ্রিলসের সঙ্গে জনপ্রিয় সার্ভাইভাল টিভি শো ‘ম্যান ভার্সেস ওয়াইল্ড’র শ্যুটিং শেষ করেছেন তামিল সুপারস্টার রজনীকান্ত। গ্রিলসের সঙ্গে তার রোমাঞ্চকর বন্য অভিযান দেখতে ইতিমধ্যেই মুখিয়ে রয়েছেন দর্শকরা। তবে রজনীর এই জঙ্গল অভিযানকে মোটেই ভাল চোখে দেখছেন না দেশের পরিবেশপ্রেমীরা।
কর্ণাটকের কিছু পরিবেশপ্রেমী প্রশ্ন তুলেছেন, বান্দিপুরের মতো এক জাতীয় উদ্যানে রজনীর মতো একজন বড় মাপের অভিনেতা কিংবা খ্যাতনামা ব্যক্তিত্ব কীভাবে শুটিং করতে পারেন? এমনকি, এই ঘটনায় রজনীকান্তকে গ্রেফতারের দাবিও তুলেছেন তারা।
পরিবেশপ্রেমীরা জানান, বান্দিপুরের জঙ্গল ব্যাঘ্র সংরক্ষণ প্রকল্প রয়েছে। বাঘ ছাড়াও সেই জঙ্গলে বিলুপ্ত প্রজাতির প্রাণীও রয়েছে। শ্যুটিংয়ের কারণে তাদেরও ক্ষতি হতে পারত! এমনকি, শ্যুটিং টিমের কোন কার্যকলাপের জন্য জঙ্গলে আগুনও ধরে যেতে পারত! এমনিতেই শীতকাল। শুষ্ক আবহাওয়ার জন্য সহজেই আগুন ছড়িয়ে দাবানলের আকার নিতে পারে। এসব আগপিছ না ভেবে সেখানে গিয়ে কীভাবে দায়িত্ব-জ্ঞানহীন ব্যক্তির মতো শ্যুটিং করলেন রজনীকান্তের মতো একজন সুপারস্টার? প্রশ্ন ছুঁড়ে রজনীর গ্রেফতারের দাবি তুলেছেন কর্ণাটকের পরিবেশপ্রেমীরা।
প্রসঙ্গত, রজনীর পর অক্ষয় কুমারও যোগ দিয়েছেন গ্রিলসের জঙ্গল অভিযান শো ‘ম্যান ভার্সেস ওয়াইল্ড’-এ। পৌঁছেও গেছেন মাইসোর। তার মধ্যেই রজনীকে গ্রেফতারের দাবি উঠল। অক্ষয়ের ক্ষেত্রেও সেই একই প্রশ্ন উঠতে পারে!
বান্দিপুরের ওই জঙ্গলে বাঘ সহ অনেক হিংস্র পশুর আনাগোনা রয়েছে। এখানেই বিয়ার গ্রিলসের সঙ্গে শ্যুটিং করেছেন থালাইভা। ২৭ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছিল ‘ম্যান ভার্সেস ওয়াইল্ড’-এর শ্যুটিং।
রজনীকান্ত যে শ্যুটিংয়ের প্রস্তুতি নিয়েছেন, তার একটি ফুটেজও প্রকাশ পেয়েছে নেটদুনিয়ায়। প্রতিদিন প্রায় ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা করে জঙ্গলের মধ্যে শ্যুটিং চলত। সকালে ১১টা থেকে শুরু হত এবং শেষ হত বিকেল ৪টায়। ৪ দিনের জন্য ১০ লাখ টাকা পারিশ্রমিক পেয়েছেন ডিসকভারি চ্যানেল কর্তৃপক্ষের থেকে রজনী আন্না। সেই ‘ম্যান ভার্সেস ওয়াইল্ড’-এর শ্যুটিংয়ের জন্যই জোর সমালোচনার মুখে পড়লেন রজনীকান্ত।
সূত্র: বাংলানিউজ24
No comments:
Post a Comment