ইজিপ্সিয়ানরা প্রাচীনকালে বেকিং সোডাকে সাবান হিসেবে ব্যবহার করতেন, কিন্তু বর্তমানে এটি রান্নার সামগ্রী বলে পরিচিত। তবে রান্নার সামগ্রীর বাইরেও এটির রয়েছে স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য্য সম্পর্কিত কিছু গুণাগুণ।
বেকিং সোডায় রয়েছে সোডিয়াম বাইকার্বোনেট। এছাড়াও আছে নাহকোলাইট, যা প্রাকৃতিক খনিজ ন্যাট্রন। তাহলে জেনে নেওয়া যাক এটির স্বাস্থ্য সম্পর্কিত কিছু গুণাগুণ।
বেকিং সোডা প্রাকৃতিক অম্লনাশক: অ্যাসিড নিঃসরণ হল শরীরের খুব সাধারণ একটি ঘটনা, যার ফলে অম্বলের সমস্যা প্রায়শই দেখা দিয়ে থাকে। বেকিং সোডার মধ্যে সোডিয়াম বাইকার্বোনেট থাকার জন্য অম্বলের সমস্যা এবং পেটের অন্যান্য সমস্যা মেটাতে সাহায্য করে। এটি শরীরে নিরপেক্ষ প্রতিনিধি হিসাবে কাজ করে।
প্রাকৃতিক অ্যালকালাইসিং: শরীর থেকে অম্লের পরিমান কমাতে এবং পিএইচের ভারসাম্য ঠিক রাখতে সাহায্য করে বেকিং সোডা।
মূত্রনালির সংক্রমণ উপশম: মূত্রনালির সংক্রমণ উপশম করার অন্যতম একটি ঘরোয়া পদ্ধতি হল বেকিং সোডা ও জলের মিশ্রণ।
অতিরিক্ত ব্যায়ামে সৃষ্ট সমস্যার প্রতিষেধক: অতিরিক্ত ব্যায়ামের ফলে শরীরে ল্যাকটিক অ্যাসিড জমতে পারে, শরীরে পেশীগত কাঠিন্যতা দেখা দিলে এই সমস্যার প্রতিষেধক হিসাবে বেকিং সোডা ভয়ানক উপকারী। জলের সাথে মিশ্রিত বেকিং সোডা এক্ষেত্রে অসাধারন উপকার করে।
কিডনির কার্যকলাপে সহায়তা: ক্ষারীয় পদার্থ হিসাবে বেকিং সোডা শরীরে অম্লের পরিমান কমাতে এবং পি.এইচ সমতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। 'মার্কিন সোসাইটি অফ নেফ্রোলজি'-র মতো একটি পত্রিকার প্রতিবেদন থেকে জানা যায় যে, এটি শরীরে কিডনির কার্যকলাপ সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান ঘটায়।
গেঁটে বাতের সমস্যা কমাতে বিশেষ উপকারী: ইউরিক অ্যাসিডের পরিমান, মূত্র এবং টিস্যুতে অতিরিক্ত পরিমানে বেড়ে গেলে সারা শরীরে মারাত্মক যন্ত্রনা দেখা দেয়, যার ফলস্বরূপ গেঁটে বাত দেখা যায়। এটি ঠিক করতে বেকিং সোডা অসম্ভব উপকার করে।
সূত্র: বিডিনিউজ এইচ
No comments:
Post a Comment