প্রোটেকশন নিয়েও মিলন হবে মজাদার, থাকল কয়েকটি টিপস্

কনডম হলো এক ধরণের জন্মবিরতিকরণ উপাদান। এর জনপ্রিয়তার কারন যেকোনো সময় এটা ব্যবহার করা যায় এবং এটা সহজলভ্য। কনডমের সবচেয়ে বড় সুবিধা এই যে এটা যৌনবাহিত যেকোনো রোগ থেকে সঙ্গম সময়ে নিরাপত্তা দেয়। তবে অনেক দম্পতির কনডমে এলার্জি থাকতে পারে, তাদের কনডম ব্যবহার না করাই ভালো। দীর্ঘদিন কনডম ব্যবহার করলে অনেক সময় দম্পতিরা একধরনের মানসিক অতৃপ্তি এবং অশান্তিতে ভোগেন। কনডম ব্যবহারের সাথে সাথে প্রাকৃতিক জন্মনিয়ন্ত্রন পদ্ধতি ব্যবহার করে স্বামী-স্ত্রী অনেক আরাম দায়ক যৌন জীবন উপভোগ করতে পারেন।

কীভাবে কনডম ব্যবহার করবেন :

কনডম ব্যবহার বেশ সহজ, তাছাড়া কনডমের প্যাকেটেই ব্যবহারবিধি লেখা থাকে। তাও এ ব্যাপারে কিছু ব্যপার জেনে রাখা ভালো। তা হলোঃ

১. কনডম ব্যবহারের আগে মেয়াদোত্তির্ণের তারিখ দেখে নিন। মেয়াদোত্তির্ণের তারিখ শেষ হওয়া কনডম ব্যবহার করা উচিৎ নয়।

২. ভ্যাজায়নার সাথে পেনিসের কোন রকম স্পর্শের আগেই কনডম পরে নেওয়া উচিৎ। কেননা স্পার্ম (বীর্য) আউট ছাড়াও প্রি-কাম-ফ্লুইড (Pre-Cum-Fluid) বলে তরল পদার্থ পেনিস থেকে বের হয়, যা ছেলেরা টের পায় না খুব একটা, কিন্তু তাতে ঠিকই স্পার্ম থাকে। তাই পুল আউট ব্যবস্থা, অর্থাৎ স্পার্ম আউটের আগে পেনিস বের করে ফেলা কার্যকর নয় বাস্তবে। অবশ্যই কনডম ব্যবহার করুন, প্রেগনেন্সি ও সকল ঝামেলা এড়াতে চান যদি।

৩. প্রত্যেক সঙ্গমের জন্য একটি কনডম ব্যবহার করুন। কখনও একটি কনডম একাধিকবার ব্যবহার করবেন না।

৪. প্যাকেট থেকে কনডম বের করার সময় সাবধান। ছিঁড়ে ফেললে বা ভেঙ্গে গেলে আরেকটা কনডম ব্যবহার করুন। ভেঙ্গে যাওয়া কনডম কোন দিক থেকেই সেক্সকে নিরাপদ করে না।

৫. প্রয়োজনে কনডমের ভেতর এক দুই ফোটা লুব্রিক্যান্ট দিতে পারেন। এতে কনডম পরতে যেমন সুবিধা হয়, তেমনই তা ছেলেদের জন্য বেশি মজারও হয়।

৬. পেনিস পুরোপুরি দাড়ানোর পরই কনডম পরুন।

৭. সামনের দিকে আধা ইঞ্চির মত জায়গা রাখুন কনডমে স্পার্ম ধারনের জন্য।

৮. সামনের দিকে বাতাস থাকলে তা হাত দিয়ে চেপে ভেতরে নিয়ে যান এবং পেনিসের উপর কনডম যতটুকু স্ট্রেচ হয় ততটুকু করুন। কোন বাতাসের বুদবুদ থাকলে তা সমান করুন, এগুলো কনডম ভেঙ্গে ফেলতে পারে। কনডম পরার পর চাইলে লুব্রিক্যান্ট দিতে পারেন উপরে সেক্স শুরুর সময়।

৯. পেনিস নরম হওয়ার আগেই ভ্যাজাইনা থেকে পেনিসটি কনডম সহ বের করে ফেলুন।

১০. কনডম খোলার সময় একজন কনডম ধরে রাখুন আরেকজন খুলুন, এতে স্পার্ম ছড়িয়ে পরবে না।

১১. কনডম কখনও টয়লেটে বা কমোডে ফ্লাশ করবেন না। বাচ্চাদের নাগালের বাইরে কোন ট্র্যাশ বিনে ফেলুন। কনডম একবার খোলার পর পেনিস ভাল করে সাবান ও জল দিয়ে ধুয়ে নিন, আরেকবার ভ্যাজায়নাতে ঢুকানোর আগেই। তবে যেখানে সেখানে কনডম ফেলবেন না।








সূত্র: বিডি টিপস্