নয়টি এমন শহর যেখানে নিষিদ্ধ আচরণও বৈধ - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Friday, 31 January 2020

নয়টি এমন শহর যেখানে নিষিদ্ধ আচরণও বৈধ





পৃথিবীতে সভ্যতার সূচনার আগে মানুষ নগ্ন জীবন-যাপন করত। ধীরে ধীরে মানুষ সভ্যতা সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করে। নানা আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে মানুষ এই পৃথিবীকে করে তোলে আধুনিক থেকে আধুনিকতর এক আবাসস্থল।

পোশাক পরিধানকে সভ্যতার একটি অংশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তাই নগ্নতা এখন ‘নিষিদ্ধ’ একটি বিষয়। কিন্তু বিশ্বে এখনও এমন কিছু স্থান রয়েছে, যেখানে প্রকাশ্যে বা জনসম্মুখে নগ্নতা আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে বৈধ। এমন ৯টি উল্লেখযোগ্য শহর নিয়ে এই প্রতিবেদন। প্রসঙ্গত, এরমধ্যে ৬টি শহরই যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত।

১) পোর্টল্যান্ড ও ইউজেন, যুক্তরাষ্ট্র: পোর্টল্যান্ড ও ইউজেন যুক্তরাষ্ট্রের ওরেগন অঙ্গরাজ্যের দুটি শহর। উত্তর-পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের এই শহর দুটিতে প্রকাশ্যে নগ্নতা বৈধ। সেখানে একবার রাস্তায় নগ্ন হয়ে সাইকেল চালিয়ে গোটা বিশ্বকে তাদের নগ্নতা সম্পর্কে জানিয়েছে শহর দুটির বাসিন্দারা।

২) কেপ ডি’আগডে, ফ্রান্স: এটি ফ্রান্সের আগডে শহরের সমুদ্রতীরবর্তী একটি রিসোর্ট। এটি ইউরোপের সবচেয়ে বড় নগ্ন রিসোর্ট এবং বিশ্বের সবচেয়ে বড় নগ্ন শহর হিসেবে পরিচিত। এখানে প্রতিবছর গ্রীষ্মকালে ৪০ হাজারের বেশি মানুষের সমাগম ঘটে। তবে এখানে প্রকাশ্যে নগ্নতা বৈধ হলেও জনসম্মুখে শারীরিক মিলনে রয়েছে নিষেধাজ্ঞা।

৩) মিউনিখ, জার্মানি: জার্মানির মিউনিখ শহরে ২০১৪ সালের এপ্রিলে প্রকাশ্যে নগ্নতাকে বৈধতা দেওয়া হয়। তবে এজন্য শহরের ৬টি এলাকাকে নির্দিষ্ট করে দিয়েছে দেশটির সরকার। এসব স্থানে যে কেউ নগ্ন হয়ে ঘুরে বেড়াতে ও সূর্যস্নান করতে পারবে।

৪) অস্টিন, টেক্সাস; যুক্তরাষ্ট্র: অস্টিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের একটি শহর। যেখানে সরকার নিয়ন্ত্রিত একমাত্র ক্লোদিং অপশনাল পার্ক রয়েছে, যা ‘হিপ্পি হলো’ নামে পরিচিত। অস্টিন শহর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত লেক ট্রাভিস এলাকায় একশ একরজুড়ে এই হিপ্পি হলো পার্ক। এখানে শরীরে কাপড় পরা না পরা একটি ঐচ্ছিক বিষয়। কেউ চাইলে কাপড় পরতে পারে, আবার নাও পরতে পারে।

৫) লন্ডন, ইংল্যান্ড: ইংল্যান্ডের লন্ডনের ওয়েলস নগরীতেও প্রকাশ্যে নগ্নতা বৈধ। তবে কিছুটা সীমাবদ্ধতা রয়েছে, তা হচ্ছে কাউকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলতে কিংবা কারও ক্ষতিসাধনের উদ্দেশ্যে নগ্ন হওয়া এখানে পুরোপুরি নিষিদ্ধ। নগ্নতার এই বৈধতার ফলেই সেখানে গড়ে উঠেছে অসংখ্য নগ্ন রেস্টুরেন্ট, ব্যায়ামাগার ও কবিতা পাঠের আসর সহ নানা ধরনের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান।

৬) নিউ ইয়র্ক সিটি, যুক্তরাষ্ট্র: যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের নিউ ইয়র্ক সিটিতে প্রকাশ্যে নগ্নতা বৈধ, তবে পুলিশ চাইলে নগ্ন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করতে পারবে। একই সঙ্গে নগ্ন নারী অপ্রাসঙ্গিক আচরণ করলে তার বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়েরের অনুমতিও আছে সেখানে।

৭) হনলুলু, হাওয়াই, যুক্তরাষ্ট্র: যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই অঙ্গরাজ্যের হনলুলু শহরে প্রকাশ্যে টপলেস (অর্ধ নগ্ন) আইনত বৈধ। শহরে কিংবা সমুদ্র সৈকতে ওপরের অংশ কাপড়বিহীন রাখার বৈধতা রয়েছে। তবে এখানে গোপনাঙ্গ প্রদর্শন সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ।

৮) ওয়াশিংটন ডিসি, যুক্তরাষ্ট্র: যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতেও টপলেস বৈধ। এখানে ‘টপলেস ডে’ নামে একটি দিবসও পালন করা হয়। তবে নিউ ইয়র্কের মতো এখানেও বটম ফ্রিডম নেই অর্থাৎ যৌনাঙ্গ প্রকাশে এখানেও রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। এমনকি কোন নারী নগ্ন হয়ে অন্যের সঙ্গে অসংলগ্ন কোন আচরণ করলে তার বিরুদ্ধেও পুলিশের ব্যবস্থা নেওয়ার এখতিয়ার রয়েছে।

৯) বুল্ডার, কলোরাডো, যুক্তরাষ্ট্র: যুক্তরাষ্ট্রের কলরাডোর এই শহরটিতেও জনসম্মুখে টপলেস হওয়ার অনুমতি রয়েছে, পূর্ণ নগ্নতায় রয়েছে নিষেধাজ্ঞা।







সূত্র: বাংলাদেশ সংবাদ

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad