ঘাড় ব্যথা- এটা এখনকার সময়ের সবচেয়ে আলোচিত বিষয়। ঘাড় ব্যথাতে ভুগে থাকেন না এমন মানুষ পাওয়া যাবে না। ঘাড় ব্যথা শুরু হয় অফিসে বসে থেকে কাজ করার কারণে। সাধারণত সবাই এখন কম্পিউটারে বসে কাজ করে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা কম্পিউটারের সামনে বসে কাজ করা ছাড়াতো কোন উপায়ও নেই।
ঘাড় ব্যথা কেন হয় : ঘাড় ব্যথার প্রধান ও অন্যতম কারণ হল সার্ভিকাল স্পন্ডিলোসিস। মেরুদন্ডের হাড় ক্ষয় রোগটিই হল স্পন্ডিলোসিস। মেরুদন্ডের ঘাড়ের অংশ ক্ষয় হওয়াকে বলে সার্ভিকাল স্পন্ডাইলোসিস। প্রতিটা মানুষের মেরুদন্ড গঠিত হাড়, মাংসপেশি ও হাড়ের জোড়া নিয়ে। সার্ভিকাল স্পন্ডাইলোসিস রোগটি বয়স বৃদ্ধি হওয়ার সঙ্গে খুব ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে। অনেকে অফিসে বা নিজ কর্মস্থলে সামনের দিকে ঝুঁকে কাজ করে, এর ফলে সার্ভিকাল স্পন্ডাইলোসিস শুরু হয়ে থাকে।
আরও একটু বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। আমাদের ঘাড়কে যে হাড় শক্ত করে ধরে রাখে তার নাম কশেরুকা বা ভারটেব্রা। এই কশেরুকা বা ভারটেব্রার মধ্যে ফাঁকা জায়গা যখন কমে যায়, তখন ঘাড়ে ব্যথা হয়। লক্ষণ স্বরূপ, যখন ঘাড় ঘোরানো বা হাত নাড়াচাড়া করা হয়, তখন কশেরুকার স্নায়ুর ওপর চাপ পড়ে আর চাপ থেকে ব্যথা হতে থাকে।
ঘাড় ব্যথার চিকিৎসা : মেডিসিন হিসেবে সাধারণত এসিক্লোফেনাক খাওয়া যেতে পারে। তবে খুব একটা উপকার হবে না। এসিক্লোফেনাক মেডিসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া জেনে নিতে এখানে প্রবেশ করুন। আর অবশ্যই যে কোন মেডিসিন সেবনের আগে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সেবন করবেন। অনেক সময় তীব্র ব্যথা হলে অপারেশন করতে হতেও পারে। এ ছাড়া ফিজিওথেরাপির মাধ্যমে সম্পূর্ণ ঘাড় ব্যথা মুক্ত করা সম্ভব। ফিজিওথেরাপির পাশাপাশি অবশ্য নিম্নের কাজগুলো করতে হবে।
১. শক্ত সমান বিছানাতে মাথার নিচে বালিশ নিয়ে চিত হয়ে ঘুমাতে হবে।
২. সকালে তাড়াহুড়া করে বিছানা ত্যাগ করা যাবে না, ঘুম থেকে উঠে হালকা ঘাড় ম্যাসাজ করুন।
৩. সার্ভিক্যাল কলার মাঝে মাঝে ব্যবহার করতে পারেন। তবে একটানাভাবে ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।
৪. পেইন কিলার মেডিসিন পরিহার করুন। যথাযথভাবে চিকিৎসা না নিয়ে কোন মেডিসিন সেবন করে ব্যথা কমানোর চেষ্টা করবেন না।
৫. অফিসে বা কর্মস্থলে নিজের বসার চেয়ারে বসে সোজা হয়ে কাজ করুন। কম্পিউটার ব্যবহার করার ক্ষেত্রেও একই নিয়ম মেনে চলুন।
সূত্র: অভিযাত্রা
No comments:
Post a Comment