মোটরবাইক থেকে ব্যাক পেইন? তবে মেনে চলুন কিছু বিষয় - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Tuesday, 21 January 2020

মোটরবাইক থেকে ব্যাক পেইন? তবে মেনে চলুন কিছু বিষয়





মোটরসাইকেল চালানো অনেকের কাছেই উল্লাসজনক। কিন্তু বর্তমানে আনন্দ উপভোগের পাশাপাশি এটি অনেকের কাছে জীবিকা নির্বাহের একটি মাধ্যম। মোটরবাইক চালানোর সময় এ্যাড্রেনালিন হরমোন নিঃসৃত হয়, ফলে তখন স্বাধীন বা মুক্ত এ রকম অনুভূতি হয়। কিন্তু দীর্ঘ সময় মোটরবাইক চালানোর ফলে কোমর, ঘাড় ও কাঁধ বা শোল্ডারে ব্যথা অনুভূতি হতে পারে। আমাদের কোমর ৫টি লাম্বার ভার্টিব্রা, ডিক্স, মাংসপেশী, টেন্ডন ও লিগামেন্ট নিয়ে গঠিত। যে কোন একটি স্ট্রাকচারে পরিবর্তন হলে শারীরিক গঠন বা পোশ্চারে ব্যাপক পরিবর্তন হয়, যার ফলে ডিক্স বালজিং, হার্নিয়েটেড ডিক্স নার্ভ রুট কমপ্রেশন হতে পারে।

মোটরবাইক চালানোর সময় কোমর ব্যথা হওয়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে অসঠিক পোশ্চারে যেমন- সামনে ঝুঁকে বসে মোটরবাইক চালানো।

কিছু টিপস যা মোটরবাইক চালানোর সময় আপনাকে কোমর ব্যথা মুক্ত রাখবে।

১. স্ট্রেচিং এক্সারসাইজ : কোমর, ঘাড় ও হাতের মাংসপেশীর বাইক চালানোর আগে ও পরে স্ট্রেচিং এক্সারসাইজ করুন।

২. পোশ্চার কারেকশন : সঠিক ভঙ্গিতে বসে মোটরবাইক চালান।

৩. দীর্ঘ ভ্রমণে বিরতি নিন।

৪. পেটের মাংসপেশির স্ট্রেদেনিং এক্সারসাইজ করুন।

ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা ব্যাক পেইনের চিকিৎসার ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা রাখে এবং ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা আপনাকে এবং আপনার মাংসকে দ্রুত শক্তিশালী করে এবং দ্রুত কর্মক্ষেত্রে ফিরে যেতে সাহায্য করে অর্থাৎ আপনার মুভমেন্ট এবং অ্যাক্টিভিটি বাড়িয়ে দেয়।

খাদ্য তাালিকা : ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। এমন অনেক খাবার আছে যে খাবারগুলো ব্যথা কমায়, সেই খাবারগুলো খাবেন। যেমন- মধু (ব্যথার স্থানে মধুর সঙ্গে ভিনেগার মিশিয়ে মাখালে ব্যথা কমে), খেজুর, কালো জিরা, ওলিভ অয়েল, তরমুজ ইত্যাদি খাবার ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও লাল আটার রুটি, লাল চালের ভাত খান, প্রচুর জল পান করুন। লাল মাংস খাবেন না। প্রতিদিন ৩০ মিনিট গায়ে রোদ লাগান। ধূমপান বর্জন করুন।

এক্সারসাইজ : নিয়মিত এক্সারসাইজ হাড়ের ডেনসিটি বাড়িয়ে জয়েন্টের সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন সমস্যা প্রতিরোধ করে। এক গবেষণায় বলা হয়েছে যাদের বয়স ৬০ এর উপরে তারা যদি সপ্তাহে ৫ দিন ৩০ মিনিট রেগুলার এক্সারসাইজ করে, তাহলে বছরে যে টাকা তিনি চিকিৎসার জন্য ব্যয় করেন তা অনেকাংশে কমে যাবে। এছাড়াও ব্যায়াম ডিপ্রেশন কমিয়ে মানসিক প্রশান্তি এনে দেয়। সুতরাং নিয়মিত এক্সারসাইজ করুন, সঠিক ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা নিন এবং কোমর ব্যথার কষ্ট থেকে মুক্ত থাকুন।









সূত্র: জনকন্ঠ

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad