রূপচর্চা বিষযটা খুব চলতি। মুখের বলিরেখা দূর করতে, ত্বক টানটান করতে, কিংবা নিজেকে স্রেফ সুন্দর করে তুলতে রূপচর্চা করে না, এমন মানুষ বিরল। পার্লারে কিংবা বাড়িতে, যেখানে হোক, রূপচর্চা চলছে চলবে। তা বলে এই কাজ করতে গিয়ে মুখে আগুন জ্বালানোর কথা ভেবেছেন কেউ! না, সরাসরি মুখের ত্বকে আগুন ধরিয়ে দেওযা হচ্ছে না। প্রথমে মুখ ঢেকে দেওযা হচ্ছে হালকা তোয়ালে দিয়ে তারপর এই তোয়ালেতে আগুন লাগিয়ে দেওযা হচ্ছে। কিছুক্ষণ পর আরেকটি ভারী তোয়ালে দিয়ে চাপা দিয়ে আগুন নিভিয়ে ফেলা হচ্ছে। আগুন দিয়ে রূপচর্চার এই অদ্ভুত পদ্ধতির নাম ফায়ার থেরাপি। এই থেরাপি ভিয়েনামে রীতিমতো জনপ্রিয হযে উঠেছে।
ভিয়েনামের হো চি মিন শহরের প্রায প্রতিটি পার্লারে এই থেরাপিতে মুখের বলিরেখা দূর করা হয়। সেই সঙ্গে সৌন্দর্য্য চর্চাও করা হয়। কিন্তু রূপচর্চার ক্ষেত্রে এই ফায়ার থেরাপি কীভাবে প্রয়োগ করা হয়? প্রথমে অ্যালকোহলে ভেজানো তোয়ালে দিযে মুখ ঢেকে দেওয়া হয। তারপর ওই তোয়ালেতে ধরিয়ে দেওয়া হয় আগুন। তিরিশ সেকেন্ড থেকে বড়োজোর একমিনিট পর এর ওপর অন্য একটি ভারী তোয়ালে চাপা দিয়ে আগুন নিভিয়ে ফেলা হয। ভিয়েনামের থেরাপিস্টদের দাবি, এই থেরাপির সাহায্যে মুখের বলিরেখা যেমন দূর হয়, তেমনই ত্বক হয় উজ্জ্বল, যৌবনদীপ্ত। শুধুই রূপচর্চার ক্ষেত্রে নয়, আরও নানা কাজে উপকারী এই থেরাপি। যেমন পেশির ব্যথা, মাথাব্যথা, অনিদ্রার মতো একাধিক সমস্যা দূর করা যায় এই থেরাপির সাহায্যে।
কিন্তু এই পদ্ধতিকে চিকিৎসা বিজ্ঞান সমর্থন করে না। এই থেরাপি যে স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী, এমন কোন প্রমাণ চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরীক্ষা থেকে জানা যাযনি। আমেরিকান ক্যানসার সোসাইটির পক্ষ থেকেও এই পদ্ধতিকে কোন মান্যতা দেওয়া হযনি। তবে আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান একে সমর্থন না করলেও হো চি মিন শহরে ফায়ার থেরাপিকে রদ করে কার সাধ্যি!
সূত্র: আমাদের কাগজ
No comments:
Post a Comment