গত শুক্রবার রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয়েছে হিন্দি টেলিভিশনের জনপ্রিয় অভিনেতা কুশল পাঞ্জাবির। অভিনেতার আত্মহত্যা নিয়ে দানা বেঁধেছে একাধিক রহস্য। বৈবাহিক জীবনে অশান্তির জেরেই আত্মঘাতী হয়েছেন কুশল, এমন কথাও শোনা গিয়েছে। স্ত্রী আঁদ্রে ডোলহেনও মুখ খোলেননি স্বামীর মৃত্যু নিয়ে। কুশলের মতো হাসিখুশি, দিলদরিয়া মানুষ কীভাবে এই ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, তা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন এই কদিনে। এসবের মাঝেই সুদূর চীন থেকে আঁদ্রে এসেছিলেন স্বামী কুশল পাঞ্জাবির স্মরণসভায় হাজির থাকতে।
দিন দুয়েক আগে কুশলকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে হাজির হন টেলি তারকারা। সেখানেই স্ত্রী আঁদ্রে ডোলহেনকে দেখা যায় কুশলের পরিবারের সঙ্গে। সাদা সালোয়ার পরে ওড়নায় মুখ ঢেকেছিলেন স্মরণসভায়। তাঁকে এমনভাবে ঘিরে রেখেছিলেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা, যাতে তাঁকে ক্যামেরাবন্দি না করা যায়। অনুষ্ঠান শেষ হতেই বিন্দুমাত্র দেরি করেননি। কালো কাচ ঢাকা গাড়িতে করে বেরিয়ে যান। শত চেষ্টা সত্ত্বেও ক্যামেরাবন্দি করা যায়নি আঁন্দ্রেকে।
এদিকে কুশলের মৃত্যুর পর বন্ধুবিয়োগের শোকে দিন কয়েকের জন্য মুম্বাই ছেড়েছেন অভিনেতা চেতন হংসরাজ। তিনিই জানিয়েছিলেন যে, মৃত্যুর দিন কয়েক আগে চীনে ছেলের সঙ্গে দেখা করতে যান কুশল। আর ফিরে এসেই হঠাৎই সুইসাইড করেন।
এতেই রহস্য দেখছেন কুশল ঘনিষ্ঠরা। যদিও স্বামীর মৃত্যু নিয়ে এখনও কোন প্রতিক্রয়া দেননি স্ত্রী আঁদ্রে ডোলহেন। সমস্যা তো সবার জীবনেই থাকে। কিন্তু তার জন্য কুশল জীবন শেষ করে দেওয়ার মতো সিদ্ধান্ত নেবে, এমনটা কেউই ভাবেনি! আক্ষেপ করেছেন একতা কাপুরও।
প্রসঙ্গত, প্রশ্ন উঠেছে কুশলের সম্পত্তির ভাগ নিয়েও। সম্পত্তির ৫০ শতাংশ ছেলের নামে এবং বাকি ৫০ শতাংশ মা-বাবা-বোনের মধ্যে ভাগ করে দিয়ে গিয়েছেন কুশল পাঞ্জাবী।
মূলতঃ, বৈবাহিক জীবনে সুখী ছিলেন না কুশল। ২০১৫ সালে ইউরোপিয়ান গার্লফ্রেন্ড আঁদ্রে ডোলহেনের সঙ্গে গোয়ায় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। হিন্দু রীতি মেনেও বিয়ে হয়। ১ বছরের মধ্যেই কুশল এবং আঁদ্রের জীবনে আসে তাঁদের একমাত্র সন্তান। কিন্তু ছেলে বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কুশল এবং আঁদ্রের মধ্যে দূরত্ব বাড়তে শুরু করে।
দূরত্ব এতটাই বাড়ে যে, স্ত্রী আঁদ্রে ৩ বছরের ছেলেকে নিয়ে কুশলের বাড়ি ছেড়ে চীনে চলে যান। বর্তমানে চীনেরই একটি মালটি ন্যাশনাল কম্পানিতে কর্মরত আঁদ্রে। বন্ধু চেতন হংসরাজের কথায়, ওঁদের মধ্যে আইনিভাবে বিচ্ছেদ প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছিল। এসব নিয়েই অবসাদে ভুগছিলেন কুশল। একাধিকবার বোঝালেও কোনও লাভ হয়নি।
সূত্র: কালের কণ্ঠ
No comments:
Post a Comment