ব্যস্ত রাস্তায় জীর্ণ পোশাকে হুইল চেয়ারে মেয়র !!!! - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Tuesday, 21 January 2020

ব্যস্ত রাস্তায় জীর্ণ পোশাকে হুইল চেয়ারে মেয়র !!!!


মেক্সিকোর কাহুটিমোক শহরের ব্যস্ত রাস্তায় জীর্ণ পোশাকে হুইল চেয়ারে বসে আছেন এক বৃদ্ধ। পথচারীরা কেউ কেউ তার দিকে ফিরে তাকাচ্ছেন। কেউ দরদী হয়ে দিচ্ছেন সামান্য অর্থ সাহায্য।
কিন্তু ভিক্ষুক ভেবে যে লোকটিকে পথচারীরা অর্থ দিচ্ছেন তিনি কোনো সাধারণ লোক নন। তিনি মেক্সিকোর সেই শহরের মেয়র কার্লোস টিনা। শহরের অসহায় পঙ্গু লোকেদের প্রকৃত অবস্থা জানতে তার এই ছদ্মবেশ!
দিনকয়েক আগে মেয়রের কাছে শহরের শারীরিকভাবে পঙ্গু লোকেদের সঙ্গে সমাজসেবা অধিদপ্তরের কর্মীদের খারাপ ব্যবহারের অভিযোগ আসে। শোনা কথায় কান না দিয়ে মেয়র নিজেই সরেজমিনে এই অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে পঙ্গু লোকের ছদ্মবেশে রাস্তায় নামেন।
প্রথমে তিনি সমাজসেবা দপ্তরে যান। সেখানে গিয়ে তিনি বিনা পয়সায় কিছু খাবার চান। প্রসঙ্গত, কাহুটিমোক শহরে শারীরিকভাবে অক্ষমদের বিনা পয়সায় খাবার দেয়া হয়। কিন্তু পরিতাপের বিষয় তাকে খাবার দেয়া তো দূরের কথা তার সঙ্গে সমাজসেবা দপ্তরের কর্মীরা খারাপ ব্যবহার করে।
সমাজসেবা দপ্তরের খারাপ অভিজ্ঞতা নিয়ে মেয়র এবার নিজের অফিসে যান। মেয়রের সঙ্গে দেখা করতে চান। সেখানেও তাকে একই অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয়। অফিস থেকে জানানো হয়, মেয়র এই মুহূর্তে কার্যালয়ে নেই। এবার তিনি সিটি কাউন্সিল সেক্রেটারির সঙ্গে দেখা করতে চান। তাকে তখন খুব রুঢ়ভাবে  হলঘরে অপেক্ষা করতে বলা হয়।
অপেক্ষা করতে থাকেন ছদ্মবেশী মেয়র। কিন্তু দেড় ঘণ্টা পরেও যখন সেক্রেটারি আসেনি তখন তিনি হতাশ হয়ে স্থান ত্যাগ করেন। এবার তিনি বুঝতে পারেন তার কাছে আসা অভিযোগগুলো সত্য।
মেক্সিকান পত্রিকা ‘এল ভোসিরো’য় মেয়র বলেন, ‘আমার কাছে প্রতিদিন সহকর্মীদের নামে যে অভিযোগ আসে তা আদতে কতটুকু সত্য সেটা জানার জন্যই আমার এই ছদ্মবেশ।’ তবে অভিযোগের সত্যতা পেলেও মেয়র এখনও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেননি। তিনি সকলকে মৌখিকভাবে সতর্ক করে পরবর্তীতে তীব্র পদক্ষেপ নেবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন।
মেক্সিকোর কাহুটিমোক শহরের দীর্ঘদিনের জনপ্রিয় মেয়র কার্লোস টিনা। শারীরিকভাবে অক্ষম লোকেদের অধিকার আদায়ে তিনি দীর্ঘদিন সংগ্রাম করছেন। তিনি মাঝেমধ্যেই ছদ্মবেশে পঙ্গু লোকেদের প্রকৃত অবস্থা দেখার জন্য শহরের রাস্তায় নামার কথা বলেন। সেটা যে নিছক কথার কথা না, সাম্প্রতিক এই ঘটনা তার প্রমাণ।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad